ঝিনাইদহে ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (৯ জুলাই) জেলা বিএনপির কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় এ ঘটনা ঘটে। সভা শুরুর আগমূহূর্তে সেখানে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোমেন এবং পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজল ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
সূত্রে জানা যায়, সভার শুরুতেই পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজলকে প্রথম সারি থেকে উঠে যেতে বলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোমেন। কিন্তু তিনি উঠে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে সোমেন অকথ্য ভাষায় গালাগাল করলে সজল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে সজলকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কার্যালয় থেকে বের করে দেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ইমরান হোসেন। এরপর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার অপরপক্ষের ওপর চড়াও হলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বখতিয়ার ফোন করে তাদের লোকজনকে ডেকে নেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদল সহসভাপতি ইমরান, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব তন্ময় ঘোষসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, এক সময়ের বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত ঝিনাইদহ। কিন্তু দলীয় অন্তঃকোন্দলে জর্জরিত হয়ে এখানকার অবস্থা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোমেনকে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। আরেকপক্ষেরও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন