চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট ও এর আশপাশের এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এতে ১১ জন হকার নেতার নাম উল্লেখ করে আরও ১২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চসিকের আদালত শাখার পেশকার আবু জাফর চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নাম উল্লেখ থাকা আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম, মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতির সভাপতি মিলন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শাহীন আহমদ ও সদস্য নূর মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম হকার্স লীগের সাবেক সভাপতি ঋষি বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রনি, চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারেক হায়দার এবং সোহেল।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অভিযান চলাকালে সংঘবদ্ধভাবে অভিযানে অংশ নেওয়া চসিকের কর্মকর্তা ও স্টাফদের ওপর চড়াও হয় হকাররা। এ সময় তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি পাবলিক টয়লেটে ঢুকে পড়েন ম্যাজিস্টেটসহ চসিকের স্টাফরা। পুলিশ চসিকের কর্মকর্তাদের রক্ষার চেষ্টা চালালে পুলিশের ওপরও চড়াও হয় হকাররা। একপর্যায়ে ছোড়া পাথরে চসিকের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা পায়ে আঘাত পান। তাছাড়া আরও দুজন কর্মী মাথায় ও কোমরে গুরুতর আঘাত পান। ভাঙচুর করা হয় চসিকের ৪টি গাড়ি।
হকার ফেডারেশনের সভাপতি মিলন হোসেন মিলন কালবেলাকে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে আমাদের একজন হকারের চোখ ড্যামেজ হয়ে গেছে এবং মাথায় গুলি লেগে মনির নামের আরেকজন হকার আইসিউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছে। এরই মধ্যে সিটি করপোরেশন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে শুনেছি। আইনকে আমরা শ্রদ্ধা করি। এটা আইনগতভাবেই মোকাবিলা করব।’
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নগরের ফলমুণ্ডি লেইন, পুরাতন রেলস্টেশন, রিয়াজউদ্দিন বাজার, নতুন রেলস্টেশন, নিউমার্কেট, তামাকুণ্ডি লেইন, আমতলসহ আশপাশের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় এক হাজার ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করে চসিক। সম্প্রতি বড় এ অভিযানে অংশ নেয় চসিক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট।
মন্তব্য করুন