মাছচাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের একদল মাছচাষি সিলেটের জৈন্তাপুর সফর করেছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জগন্নাথপুরের মাছচাষিরা মাহিন মৎস্য খামারে পৌঁছালে খামার মালিক আলামিন তাদের স্বাগতম জানান।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের আয়োজনে মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাস্তবায়নে কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ অ্যান্ড একুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় জৈন্তাপুরে মাহিন মৎস্য খামারে এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্ঠিত হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলার রসুলপুর পুকুরে মাছচাষ সিবিও এর নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন মাছচাষি এই অভিজ্ঞতা বিনিময়ে অংশ নেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অলিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য অফিসার শামসুল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর শফি উল্লাহ্, জগন্নাথপুর বাংলা টিভির প্রতিনিধি গোবিন্দ দেব, ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম, মাঠ সহায়তাকারী অভিক দাস প্রমুখ।
জগন্নাথপুর সিবিও সদস্যদেরকে মাহিন মৎস্য খামারের মালিক আলামিন তার বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন। সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করে সদস্যরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হন এবং তারা নিজেরাও ভবিষ্যতে সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেলা মৎস্য অফিসার সামসুল করিম বলেন, ‘আমরা ২০ জন মৎস্যচাষিকে নিয়ে মাছচাষের অভিজ্ঞতার জন্য নিয়ে এসেছি। সবাই মৎস্য খামার দেখে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এই খামার দেখে মাছচাষিরা মাছচাষ করতে আগ্রহী হবে।’
জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার আখতারুজ্জামান বলেন, ‘জগন্নাথপুরে মাছচাষের জন্য ২০ জন নারী ও পুরুষ মিলে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে যোগ দেন। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে মাছচাষে অনেক সফলতা আসবে।
মাহিন মৎস্য খামারের প্রোপাইটর আল আমিন বলেন, আমি ২০ একর জায়গা নিয়ে ফিশারি শুরু করি। আজ জগন্নাথপুরের ২০ জন চাষি অভিজ্ঞতার জন্য আমার ফিশারিতে আসেন এবং অভিজ্ঞতা নেন।
মাছচাষি শহিদুল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘আজ জৈন্তাপুর মাহিন মৎস্য খামার দেখে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা চাই জগন্নাথপুরের মানুষ এ রকম খামার করে স্বাবলম্বী হোক।’
মন্তব্য করুন