আল-কারিয়া চৌধুরী, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাঁসের সঙ্গে লিটনের বন্ধুত্ব!

নিজের পোষা রাজহাঁসের সঙ্গে পাঁচবিবির বালিঘাটা ইউনিয়নের আটুল মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক লিটন। ছবি : কালবেলা
নিজের পোষা রাজহাঁসের সঙ্গে পাঁচবিবির বালিঘাটা ইউনিয়নের আটুল মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক লিটন। ছবি : কালবেলা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বালিঘাটা ইউনিয়নের আটুল মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক লিটন তার বাড়িতে পালিত একটি রাজহাঁসের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। এ যেন মানুষ ও রাজহাঁসের অন্যরকম ভালোবাসা। কৃষক লিটন বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন, তখন মালিককে অনুস্মরণ করে পেছনে পেছনে যাচ্ছিল হাঁসটি। লিটন যেখানেই হেঁটে যান সেখানেই তার পেছনে পেছনে রাজহাঁসটিও চলে যায়। শুধু তাই নয় শত মানুষের ভিড়েও রাজহাঁসটি তার মালিক লিটন হোসেনকে খুঁজে নেন। মানুষ ও রাজহাঁসের এমন ভালোবাসা দেখতে এখন প্রতিদিনই লোকজন লিটন হোসেনের বাড়িতে আসছেন। মানুষ ও রাজহাঁসের এমন সখ্যতা দেখে প্রতিবেশীসহ মুগ্ধ সবাই।

আটুল মধ্যপাড়াগ্রামে লিটন হোসেন বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়ির সামনে কয়েকজন মানুষ জড়ো হয়েছেন। লিটন হোসেন বাড়ির দরজা খুলে বাইরে আসেন। কিছুক্ষণ পর একটি রাজহাঁস বাড়ি থেকে বের হয়। লিটন হোসেন মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। রাজহাঁসটিও তাকে অনুসরণ করে পেছনে পেছনে যাচ্ছিল। তিনি যখন মাঠ থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন। রাজহাঁসটিও আবার পেছনে পেছনে আসছিল। উৎসুক লোকজন এমন দৃশ্য দেখছিলেন। লিটন হোসেন আবার যখন বাজারের দিকে রওনা হন। রাজহাঁসটিও তাকে অনুসরণ করে পেছনে পেছনে যাচ্ছিল। একজন ব্যক্তি পরীক্ষা করতে রাজহাঁসটি খাবার দিয়ে তার দিকে ডাকছিলেন। কিন্তু রাজহাঁসটি তার মালিক লিটন হোসেন দিকেই ছুটে চলেছে।

আটুল গ্রামের কৃষক লিটন হোসেন বলেন, এক বছর আগে ১২০০ টাকায় এক প্রতিবেশীর কাছে ৪টি রাজহাঁসের বাচ্চা কিনেছিলাম। একটি বাচ্চা মারা গেছে। একটি বনবিড়ালে খেয়েছে। দুটি রাজহাঁসের মধ্যে আমরা একটি জবাই করেছি। অবশিষ্ট রাজহাঁসটি নিয়মিত খাবার দিচ্ছিলাম। সেখান থেকে আমার সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। বিগত ছয় মাস ধরে যেখানে যাই রাজহাঁসটিও আমার পেছনে পেছনে আসে। অনেক চেষ্টা করেও রাজহাঁসটিকে আমার পিছু ছাড়াতে পারিনি। যখন বাজারে যাই, আমার পেছনে পেছনে রাজহাঁস চলে আসে। এ কারণে রাজহাঁসের মায়ায় পড়েছি। রাজহাঁসটি কয়েকবার জবাই করে খাওয়ার উদ্যোগ নিয়েও জবাই করতে পারিনি। এখন ভাবছি রাজহাঁসটিকে কাছেই রেখে দিব। এখন প্রতিদিন রাজহাঁসটিকে দেখতে লোকজন আমার বাড়িতে আসছে।

লিটন হোসেন বলেন, যখন দূরে কোথাও যাই, তখন রাজহাঁসটিকে বেঁধে রাখি। বাড়িতে আসার পর আমার কথা শোনার পর রাজহাঁসও সাড়া দেয়।

লিটন হোসেনের স্ত্রী ছোবেদা খাতুন বলেন, আমরা পরিবারের সবাই রাজহাঁসটিকে খাবার দিই। কিন্তু রাজহাঁসটি আমাদের কাছে আসে না। আমার স্বামী যেখানে যায় রাজহাঁসটিও পেছনে পেছনে চলে যায়। এতে সাংসারিক কাজের কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। তারপরও রাজহাঁসের এমন ব্যবহারে আমরা সবাই মুগ্ধ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২০ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের দুইজন নিহত, আহত ৪

ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন সাংবাদিক সম্পদ

দুর্নীতিবাজদের বর্জন করুন, জনগণের ভরসা হতে চাই : শাকিল উজ্জামান

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

টাকা বাঁচাতে লেভানদোভস্কিকে গোল করতে মানা করেছিল বার্সা!

মুক্তিযুদ্ধকে বিএনপির মতো অন্য কোনো দল ধারণ করে না: শামা ওবায়েদ

১০

মুশফিকের শততম টেস্টে হামজার বিশেষ বার্তা

১১

ভারতকে হারিয়ে ফিফা থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশ

১২

রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের কবলে বিচারক, খোয়ালেন মোবাইল-চশমা

১৩

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ছোট কাজে বড় অনিয়ম

১৪

লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল / ১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা পাবে দুই বিদেশি কোম্পানি

১৫

রামপুরায় বাসে আগুন

১৬

যুবদলের পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

১৭

আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনিতে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

১৮

এবার ‘রাজসাক্ষী’ হয়ে আরেক পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি

১৯

দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৮ নেতাকর্মী কারাগারে

২০
X