রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হলো সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘রাজশাহী ছোটমণি নিবাসে’। এরই মধ্যে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ছোটমণি নিবাস কর্তৃপক্ষের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করেছে। তবে শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে ছোটমণি নিবাসের এক মাদারের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের ৯নং ওয়ার্ডে (শিশু ওয়ার্ড) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, ওয়ার্ডের ৩২ নম্বর বেডে নবজাতকটিকে স্যালাইন লাগিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে।
শিশুটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা কটেজ মাদার সুমাইয়া বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে নবজাতকটিকে আমাদের ছোটমণি নিবাসে হস্তান্তর করেছে। জন্মগতভাবেই শিশুটির গুহ্যদ্বার বন্ধ ছিল। সার্জারির মাধ্যমে গুহ্যদ্বারের লাইন বের করা হয়েছে। এজন্য সে বেশ অসুস্থ। আপাতত মুখে কিছু খাচ্ছে না।
তাকে স্যালাইন লাগিয়ে রাখা হয়েছে, পরিপূর্ণ সুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ছোটমণি নিবাসে নিয়ে যাওয়া হবে।’
রাজশাহী জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. হাছিনা মমতাজ বলেন, শিশুটিকে বাঁচানোই আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। কারা শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে সেটি সম্ভব হলে পরে খুঁজে দেখব।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএমএ শামীম আহাম্মদ বলেন, প্রায় ৩০ বছর বয়সী দুজন যুবক-যুবতী গত শনিবার সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলেশিশুকে শ্বাসকষ্টের কথা বলে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে ভর্তি করে চলে যায়। এরপর তারা আর ফিরে আসেনি।
রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি রাহুল হক বলেন, নবজাতক রেখে পালিয়ে গেছে—মর্মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি জিডি পেয়েছি। কারা শিশুটিকে রেখে গেছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন