বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত নাছিম মিয়া (১৪) নামে এক নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১০টায় গাবতলি উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের তারই মামাতো ভাইয়ের গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নাছিম সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মিয়ার ছেলে এবং ফুলবাড়ী গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) শবে বরাতের দিন এশার নামাজের পর নাছিম মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। এরপর নাছিমকে আর কোথাও খুঁজে না পেয়ে এ বিষয়ে নাছিমের বাবা ওয়াজেল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সারিয়াকান্দি থানায় একটি হারানো ডায়েরি করেন। এ ঘটনায় গত রবিবার সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ বিকাশের দোকান থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় নাছিমকে হত্যা করা হয়েছে।
আটক অপহরণকারীর তথ্য অনুযায়ী সোমবার রাত ১০ টার দিকে নাছিমের মামাতো ভাই এনামুলের (১৯) বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এনামুল গাবতলি উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণির ছাত্র। অভিযান পরিচালনা করে এনামুলের বসত বাড়ির একটি গোয়াল ঘরে মাটি খুঁড়ে হাত পা বাঁধা বস্তাবন্দি অর্ধগলিত নাছিমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলি সার্কেল) নিয়াজ মেহেদী, সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
জানা গেছে, অপহরণের পর একটি মোবাইল ফোনে নাছিমের বাবার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। পরে নাছিমের বাবা ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ পাঠিয়ে দেয়। মুক্তিপণের ওই ২০ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে অপহরণকারী। অপহরণকারীর নাম ঠিকানা পুলিশ পরে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন সারিয়াকান্দি থানার ওসি।
এ বিষয়ে গাবতলি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে। ব্রিফিংয়ে সবকিছু প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন