জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি ভূমি অফিসের এক সহকারী কর্মকর্তাকে জেলে পাঠিয়েছেন বরিশালের একটি আদালত। বুধবার (৬ মার্চ) এ নির্দেশ দেন আদালত।
অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নাম মো. মিজানুর রহমান পান্না। তিনি সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত। তিনি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মনসা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে পান্না বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। কিন্তু সেটি মঞ্জুর না করে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার মামলার বরাতে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৭১৭ টাকার তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পান্নার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার এ মামলা করেন।
২০২৩ সালের ১০ অগাস্ট বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এখানে চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পান্নাকে অভিযুক্ত করে আসামি করা হয়।
বুধবার পান্না আসামি হিসেবে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠিয়েছেন।
মন্তব্য করুন