টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া দিলে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদেরকে অবৈধভাবে বাসা বা বাড়ি ভাড়া দেওয়া হলে ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।

বুধবার (৩ এপ্রিল) টেকনাফ রঙ্গিখালী মাদ্রাসা মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামে উদ্যাগে অপরাধ দমনে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদেরকে ভাড়া দেওয়া বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গারা মাদক ব্যবসা, চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। এ সব অপরাধের পাশাপাশি একটি চক্রের ইন্ধনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টাও করছে তারা। টেকনাফে যেসব অপহরণ হচ্ছে সব ঘটনার পিছনে রোহিঙ্গারা। আমরা অপরাধীদের শিকড় সন্ধান করে তাদের শিকড় কেটে দিব। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে অবাধ বিচরণের কারণে উখিয়া টেকনাফে অপহরণ বাড়ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বাঙালিদের টার্গেট করে। পরে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। টেকনাফে পুলিশের আরও পুলিশের জনবল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ কোম্পানি বলেন, আমাদের ইউনিয়ন ২৭ কিলোমিটার এলাকা গহীন পাহাড়। এখানে পাহাড় কেন্দ্রীক অপহরণ চক্র গড়ে উঠেছে। আমাদের এলাকায় একটিমাত্র ফাঁড়ি আছে। যেখানে মাত্র পুলিশের সংখ্যা ৭-১০ জন। এগুলো দিয়ে অপরাধ দমন সম্ভব না। তাই পুলিশের জনবল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

টেকনাফ হোয়াইক্যং এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ কর। জুম চাষে গেলে সেখান থেকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে। এখন জুম চাষিরাও ভয়ে আর যায় না।এতে মানুষের মধ্যে আতংক বাড়ছে। এজন্য পাহাড়গুলোতে যৌথ অভিযানের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম হোসেন, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওসমান গনী, টেকনাফ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি বাহাদুর ও উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যা : ট্রাইব্যুনালে হাজির ২ সেনা কর্মকর্তা

রেড ক্রিসেন্টে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

৩৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ জাল জব্দ

ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসা জরুরি

জনপ্রিয়তার শীর্ষে প্রভাস

যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা জানাল ইউক্রেন

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

তুলার গুদামে আগুন, মাথায় করে বস্তা সরিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ওসি

ঢাকায় হালকা কুয়াশা, কিছুটা বেড়েছে শীত

১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদেশি এয়ারগানসহ ৪০৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

১১

২৪ নভেম্বর : আজকের রাশিফলে কী আছে জেনে নিন

১২

কাকে শাস্তি দিতে চান হুমা কুরেশী?

১৩

ঢাকা ছাড়লেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

১৪

যুবদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৫

জবি শিক্ষার্থীদের বাস সেবা দিতে চায় শিবির, অনুমতি দেয়নি কমিশন

১৬

ইউক্রেন শান্তি চুক্তি আলোচনায় বড় অগ্রগতি

১৭

এসএসসি পাসে মীনা বাজারে চাকরির সুযোগ

১৮

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা

১৯

পুরুষদের প্রস্টেট চেক করানো কেন জরুরি

২০
X