ওয়াহিদুর রহমান রুবেল, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই লাখের বিল পেতে ৮০ হাজার টাকার ঘুষ!

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম। ছবি : সংগৃহীত
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার অনুদানের ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমকে দিতে হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। শুধু এতিমখানা নয়, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি বই পেতে প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম।

যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম।

রফিকুল ইসলাম বলেন, গেল বছর চকরিয়ায় ভিক্ষুকদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে এ জন্য আমাদের কাছ থেকে অফিস খরচ হিসেবে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। অথচ এর কিছুদিন পূর্বেও আমার কাছ থেকে ৫ হাজার আদায় করা হয়েছে। একই বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে জুলাই হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ১ লাখ ৯২ হাজার টাকার বিল দাখিল করলে আমাকে বিল দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মমতাজ বেগম ও আমজাদ। বিল পেতে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করি। একপর্যায়ে ৮০ হাজার টাকায় সমঝোতা হলে আমাকে চেক দেয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ এপ্রিল দুপুরে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে অফিস কক্ষে মমতাজ বেগমকে ৪০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিই। বাকি ৪০ হাজার টাকা দ্বিতীয় কিস্তির বিল উত্তোলনের পর দিব বলে কোনো রকম ম্যানেজ করি।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন এই দুজন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির ভয়ে মুখ খুলে প্রতিবাদ করেননি কেউ। এ ছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা বই নিতে গেলেও প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করতেন মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগম।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। টাকাগুলো আমার স্বামী বিদেশ থেকে পাঠিয়েছে।

অপর অভিযুক্ত চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে মমতাজ বেগমের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসান মাসুদকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে : শামা ওবায়েদ 

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দেবে রকমারি ডটকম, বেতন ৩০ হাজার

জীবিকার তাগিদে বের হয়ে প্রাণ হারালেন রফিকুল

হঠাৎ অসুস্থ একই স্কুলের ২২ ছাত্রী

কয়েকটি ইসলামি দলের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে : সালাহউদ্দিন 

দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোয় পরিবহনমন্ত্রীকে জরিমানা!

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে হামলাকারীদের কী সাজা হতে পারে

গকসু নির্বাচন : প্রথম দিনে ১৩টি মনোনয়নপত্র বিতরণ

ববির আবেগঘন পোস্ট

খুলনায় নদী থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

১০

প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত অডিট বন্ধ থাকবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

১১

১ বলে ১৩ রান নিলেন ভারতের তারকা ওপেনার

১২

ডাকসু নির্বাচন / প্রচারণার প্রথম দিনই শিবিরের ব্যানার ভাঙচুর

১৩

হিজাব বিতর্কে ভিকারুননিসার সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত

১৪

এই ৩ ভুল করছেন? শত চেষ্টাতেও কমবে না মেদ

১৫

একদিন পর ভেসে উঠল ইসমাইলের মরদেহ

১৬

বিশ্বে প্রথমবার মানব শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন

১৭

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই : হাসনাত

১৮

ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী ৪৭১

১৯

আমি বিবাহিত, ফেসবুকে প্রমাণ করার কিছু নেই : অপু

২০
X