তিন মাস শ্রম দিয়ে দৃষ্টিনন্দন নৌকাখচিত একটি চেয়ার বানিয়েছেন কাঠমিস্ত্রি হীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার (হিরু)। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চেয়ারটি উপহার দিতে চান তিনি।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আদাঐর গ্রামের বাসিন্দা হীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার হিরু। তিন যুগ ধরে কাঠমিস্ত্রি পেশার সঙ্গে জড়িত। তারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার অগাত বিশ্বাস ভক্তি ভালবাসা শৈশব থেকেই। তাই তো সাধ্যের জায়গা থেকেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য একটি নান্দনিক চেয়ার বানানোর ইচ্ছে জাগে তার মনে।
সেই ইচ্ছা থেকে সেগুন ও গামাইর কাঠ সংগ্রহ করে তিন মাস ধরে রাত-দিন পরিশ্রম করে চেয়ারের কাজ শেষ করেন হিরু কারিগর। কাজটি করতে তার প্রায় অর্ধ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়ার।
বিভিন্ন মিডিয়াকর্মী ও নেতাদের শরণাপন্ন হচ্ছেন তার স্বহস্তে বানানো চেয়ারটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এখন ব্যতিক্রমী এই চেয়ারটি দেখতে অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন তার বাড়িতে।
মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আলী বলেন, আওয়ামী লীগ পরিবারের ওই কাঠমিস্ত্রি অত্যন্ত দলপরায়ন। বড় মাপের শিল্পীও। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার নিঃস্বার্থ নিবেদন তথা উপহারটুকু পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সাধ্যমত উপরে আলাপ করার চেষ্টা করব।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান মোল্লা বলেন, অনেক সময় ও মেধা খাটিয়ে হিরু ভাই যে চেয়ারটি বানিয়েছেন তা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। সে ওই চেয়ারটিতে কাউকে বসতেও দেন না। এটা আরও প্রমাণ করে তৃণমূল আওয়ামী লীগ,বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জনমানুষের ভালোবাসা কতটুকু। এই ধরনের শিল্পীকে সরকারি প্রণোদনার অন্তর্ভুক্ত করাও এখন সময় দাবি।
চেয়ারের কারিগর কাঠমিস্ত্রি হীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপহার হিসেবে চেয়ারটি ৩ মাস আগে বানানো শুরু করি। দিনরাত পরিশ্রম করে যত্ন নিয়ে চেয়ারটি বানিয়েছি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য।
হিরু চেয়ারটি প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পৌঁছে দিতে মিডিয়ার লোকজনের সহযোগিতা চান। চেয়ারটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে দিতে না পারলে তার আক্ষেপ থেকে যাবে বলে জানান তিনি।
কাঠমিস্ত্রি হিরো জানান আরও জানান, প্রতিদিনের পূজায় এই উপহারটুকু যাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয় ও সেটা যেন তার কাছে পৌঁছে দিতে পারেন সে প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন