সারা দেশে চলছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেক সাধারণ মানুষ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারিভাবে চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচার। এমন পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ পৌরসভায় দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জলাবদ্ধতায় পৌর এলাকায় বেড়েছে মশার উপদ্রব।
দিনের আলোতেও মশার কয়েল কিংবা স্প্রে ব্যবহারেও কোনোভাবেই রেহাই মিলছে না। এর জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন পৌরবাসী।
দশ দশমিক চার বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা। গ্রাম-মহল্লার ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে মশার অবাধ বিচরণ। দিনরাত মশার উপদ্রবে এখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌরবাসী। যত্রতত্র ফেলা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করা এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই মশার উপদ্রব বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেনের বিভিন্ন স্থানে অপরিচ্ছন্নতার কারণে ড্রেন বন্ধ থেকে রাস্তার ওপর ময়লার পানি জমে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে প্রজনন হচ্ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণুবাহী মশার।
এতে পার্শ্ববর্তীএকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১৮ জন ও বালিকা বিদ্যালয়ের ৭৪৬ শিক্ষার্থী ডেঙ্গুসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, মশার উপদ্রব বাড়ায় দিনের বেলায় মশার কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপরিচ্ছন্ন থাকায় যেখানে-সেখানে পানি জমে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সারা দেশে ডেঙ্গুর যে প্রকোপ দেখা দিয়েছে এ অবস্থায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কারসহ মশা নিধনে এখনই উদ্যোগ না নিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ শিগগিরই ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে ৷
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সোহরাব হোসেন বলেন, সর্দিজ্বরে আক্রান্ত কোনো রোগী আসলে আমরা ডেঙ্গু আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করছি৷ তবে এখন পর্যন্ত কোনো ডেঙ্গু রোগী আমরা পাইনি উপজেলায়। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখাসহ যথাযথ নিয়ম মেনে চলার জন্য আমরা সেবা নিতে আসা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক জুয়েল ভৌমিক বলেন, দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন