বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর বেড়িবাঁধে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় দেখা দিয়েছে এ ভাঙন।
এতে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ লবণ-পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই এলাকার সাড়ে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এলাকাবাসী জানান, পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়ে তালতলী উপকূলীয় এলাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীতে জোয়ারে প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীতে চলে গেছে। বাঁধের মাত্র দু-তিন ফুট জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। দ্রুত মেরামত করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধে ধস শুরু হবে। এতে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে।
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে বরগুনার উপকূলীয় এলাকাগুলোর ক্ষতি হয়। এর মধ্যে তালতলী উপজেলার মানুষজন সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, তেঁতুলবাড়িয়ার ওই এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর মেরামত করা হয়। স্থায়ী বেড়িবাঁধের জন্য ওই এলাকায় নদীভাঙনরোধে একটি প্রকল্প প্লানিং কমিশনের কাছে আছে। প্রকল্পটি পাস হলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
মন্তব্য করুন