পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী ও জেলে পাড়ার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় করছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে দমকা হাওয়া ও টানা বর্ষণে নদী ও নিম্ন এলাকায় ৫থেকে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার দশ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর রাতে আতংকে শত শত পরিবার তাদের গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া অনেক পরিবার নিজের বসতি ফেলে পাকা বাড়িতেও আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন।
বলেশ্বর নদীর উত্তাল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খেতাচিরা, ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, নিজামিয়া, ভোলমারা, উলুবাড়িয়া, মাছুয়া, জানখালী, তুষখালীর এলাকার জেলে পল্লিতে আতংক বিরাজ করছে। নদীতে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝেরচর ওয়ারলেস অপারেটর আব্দুল হালিম জানান, এখানের ২০০টি পরিবার ঘূর্ণিঝঢ় সিডড়ের মত নতুন ঝড়ের আশঙ্কায় আতঙ্কিত। তবে সাইক্লেন শেল্টার প্রস্তুত থকায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া যে কোন সময় আশ্রয়কেন্দ্রে মাঝরচরের পরিবারগুলোকে সরিয়ে আনার সব প্রস্ততি নিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাঝের চরের দক্ষিণ, পশ্চিম পাশে বেড়িবাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে উপকূলীয় মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোববার মাঝের চরসহ বেশ কয়েকটি জেলে পল্লীতে শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। মঠবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাঊয়ূম জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্র্রহণসহ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুত্ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, আনসার ও ভিডিপিসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। জরুরি খাদ্য ও ওষুধ মজুদ রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন