মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মেম্বারের বিরুদ্ধে

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার। ছবি : কালবেলা
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার। ছবি : কালবেলা

পিরোজপুরের নেছারাবাদের একটি মসজিদের নামে সরকারি বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য মো. আলামিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের নামে ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠোমো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদ সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার উত্তোলন করলেও নানা অজুহাতে ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পের টাকা বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আলামিন মসজিদ কমিটি কিংবা কোনো মুসল্লিকে না জানিয়ে নিজেই তুলে নেন।

স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, আলামিন হাওলাদার মসজিদে বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে। তিনি একাধিকবার উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে কাজ করার কথা বলেও কাজ করছে না। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি টাকা ফেরত দিচ্ছে না এমনকি উন্নয়নমূলক কাজও করছে না।

এ বিষয়ে কাটাদৈহারী জামে মসজিদের তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক মেম্বার মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে বলেন, মসজিদ উন্নয়ন ও সংস্কার বাবদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছিলেন আলামিন হাওলাদার। প্রাথমিক কাজ সমাপ্ত করে বিল জমা দিলে পরবর্তী ৫০ হাজার টাকা উপজেলা পরিষদ দিয়ে দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু করেননি তিনি।

তবে অভিযুক্ত ইউপির সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। এ মাসেই কাজ শুরু করব। এই টাকা আমি এনেছি। মসজিদ কমিটির কাছে কখনোই জমা দেব না।

কাটাদৈহারী জামে মসজিদের সভাপতি মো. ইমাম হাসান বলেন, ইউপি মেম্বার আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। তৎকালীন সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দাকৃত টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছে না। এমনকি ওই টাকা কমিটির কাছেও হস্তান্তর করছে না।

অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম জানান, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত করে দেখা হবে।

এসব বিষয়ে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ সকল অভিযোগের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অর্থ ফেরতসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার আমিরাতের কাছে হার বাংলাদেশের

কলকাতা মিশনে কোরবানি বন্ধের নির্দেশ / নবনিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইছে সরকার

পুত্রবধূকে বেধড়ক পিটুনি, মৃত ভেবে পালিয়ে যান শ্বশুর-শাশুড়ি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঝটিকা সফরে ঢাবি ভিসি

আতাউর রহমান ভূঞা স্মরণে লেখা গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

সাভারে রং মিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা

ইশরাককে শপথ না পড়ালে আন্দোলন অন্যভাবে রূপ নেবে : সালাহউদ্দিন

‘আমরা প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর মালিককে জেলে ভরে দিতে পারি’

আরব আমিরাতকে ২০৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

১০

যুবদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর  

১১

সিলেটে কৃষক হত্যায় তিন ভাইয়ের যাবজ্জীবন

১২

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

১৩

ট্রেনে ঝুলানো সেই মতিউরের রক্তমাখা প্যান্ট হাতে কাঁদছে মেয়ে

১৪

ট্রাম্পের নতুন আইন, বিপাকে লাখ লাখ ভারতীয়

১৫

রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম

১৬

৫ বছর পর গৃহকর্মী মাকে যেভাবে ফিরে পেলেন ছেলে

১৭

১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বদলি

১৮

মেট্রো স্টেশনে সাইকেল পার্কিং ব্যবস্থার পরিকল্পনা ডিএনসিসির

১৯

চুয়াডাঙ্গায় ৫০০ অসহায় পরিবারের পাশে দোস্ত এইড

২০
X