খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৪, ১১:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঈদে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসার হযবরল অবস্থা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি : কালবেলা
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি : কালবেলা

গত মঙ্গলবার রাতে একেরপর এক রোগী আসছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় কাতরাচ্ছেন আবার কেউ এসেছেন অন্যান্য রোগ নিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে রোগীর লম্বা সিরিয়াল থাকলেও ভেতরে ডাক্তার নেই। ওয়ার্ড বয় আয়া রোগীদের কোন বাজ বিচার ছাড়াই ভর্তি করতে থাকেন। ডা. না পেয়ে যখন ক্ষুব্ধ রোগীরা। তখন হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল নিজেই এলেন জরুরি চিকিৎসক হিসাবে নিজেই টানা দুই ঘন্টা সেবা দিলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তখনও আসেনি। পরিচালকের পক্ষ থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ফোন করা হলে তিনি জানান রোস্ট্রারে তার ডিউটি দেয়া হয়েছে তিনি তা জানেনই না। এমন হ য ব রল অবস্থা ঈদের ছুটিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবায়।

খোজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মঙ্গলবার ইভিনিং ডিউটি ছিলো ডা. সরুপ চন্দ্র পোদ্দার নামে এক চিকিৎসকের। নির্ধারিত সময় দায়িত্ব পালন শেষে চিকিৎসক ইনচার্জ ডা. আশরাফকে ফোন করে তিনি নিজের ডিউটি শেষ কি করবেন জানতে চান।

ডা. আশরাফ বলেন, আপনি চলে যান আমি দেখতেছি। এ অবস্থার মধ্যে পরবর্তী কর্তব্যরত চিকিৎসক না আসলে প্রায় ঘণ্টাখানেক চিকিৎসক শুন্য থাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। একের পর এক রোগী জমতে থাকে হাসপাতালের সামনে। তখনই পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল এসে এ অবস্থা দেখে নিজেই শুরু করেন চিকিৎসা। সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিয়ে চিকিৎসককে আসতে বললে তিনি বলেন তার ডিউটি তিনি জানেন না।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল বলেন ঈদের রাতে কিছুক্ষণ চিকিৎসক শুন্য ছিলো। আমি বাড়ি থেকে এসে নিয়মিত খোজ নেয়ার জন্য জরুরি বিভাগে যাই। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় নিজেই টানা দুই ঘন্টা রোগীকে সেবা দেই। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হলে চিকিৎসক আসায় আমি চলে আসি। আজ (বুধবার) কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে তিনজন চিকিৎসককে। তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে হাসপাতালে বুধবার কর্মদিবস থাকলেও অব্যবস্থাপনার কারণে নিয়মিত অপারেশন হয়নি। তিন থেকে চার মাস পরে সিরিয়াল পাওয়া রোগীদের কোন অপারেশন হয়নি। বৃষ্টির পানিতে হাসপাতালের ওটির ভেতরের মালামাল ভিজে গেছে। পানি জমে গেছে অপারেশন থিয়েটারের মেঝেতে। জেনারেল সার্জারি, নিউরো সার্জারি এবং ইউরোলোজি বিভাগের অপারেশন বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া ইনডোরের রোগীদের জন্য নির্ধারিত ডায়েটে উন্নত খাবার দেয়ার কথা থাকলেও খাসির পরিবর্তে মুরগি দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থি। এতে পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

খোজ নিয়ে জানা গেছে হাসপাতালের স্টুয়ার্ড কখনই খাবারে খাসির মাংস উল্লেখ থাকলেও তা দেন না। এছাড়া নিম্নমানের চাল ও সেমাই রোগীদের খাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অন্তত ১৫ জন রোগী। এ ব্যাপারে হাবিব স্টুয়ার্ড বলেন খাসি খাওয়ানোর বাজেট নাই। এ অর্থ বছরে আমরা খাওয়াতে পারিনি। সামনে বাজেট বাড়লে খাওয়াতে পারবো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

আলাস্কায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, কাঁপল কানাডাও

শীতের দাপটে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

মধ্যপ্রাচ্য নীতি পাল্টে দিলেন ট্রাম্প

ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, যেভাবে গ্রেপ্তার হলো খুনি

৫৬০০ নতুন সেনা মোতায়েন করল ভেনেজুয়েলা

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু

নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

মা-বাবা ও স্ত্রীর নামে কসম করলে কী হয়? জানালেন বিশেষজ্ঞ আলেম

১০

৭ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমের প্রার্থিতার খবরে যা বলছেন হাদি

১২

নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক

১৩

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

১৪

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল

১৫

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

১৬

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

১৭

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

১৮

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

১৯

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

২০
X