দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বারের দক্ষিণ হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতারা।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আইনজীবী ফোরাম। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী রোববার (৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট বার ও ঢাকা বারসহ দেশের সকল আইনজীবী সমিতিতে কালো পতাকা মিছিল বের করা হবে। এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকল আইনজীবী সমিতিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানকে আদালত একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশি সাজা প্রদান করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগে তাদের নামে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকা আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়। মূলত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারকে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশে এ মামলা দায়ের করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে এই ফরমায়েশি রায় আদালতের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তার কন্যা জাইমা রহমানের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ১০ কাঠা প্লট রয়েছে, যা তিনি আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি। প্রকৃতপক্ষে, তারেক রহমান বা জাইমা রহমান বা ডা. জুবাইদা রহমানের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কোনো প্লট নেই এমনকি কখনও ছিল না। একইভাবে গাজীপুর সদর থানাধীন ৬৬ শতাংশ ও ১২.৫ শতাংশ জমি তারেক রহমানের নামে ক্রয়কৃত দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তারেক রহমানের নামে বা তার মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে এরূপ কোনো সম্পত্তি গাজীপুর জেলায় নেই এবং কখনও ছিল না। তারপরও তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং জনগণের কাছে তার ইমেজ ক্ষুণ্ণ করার জন্য সম্পূর্ণ মনগড়া, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ এনে আদালতকে ব্যবহার করে সাজা প্রদান করা হয়েছে। ইতোপূর্বে দুদককে অবহিত করা হয়েছিল, ওই জমির মালিকানার সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই।
চার্জশিট নিয়ে অভিযোগ করে বলা হয়, তারেক রহমান দৈনিক দিনকাল পত্রিকায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ১৮ হাজার ৩৫০ টাকা বিনিয়োগ করে পত্রিকাটির মালিক হন। কিন্তু তিনি শুধু প্রকাশক ছিলেন। পত্রিকাটি বিএনপির দলীয় সম্পদ, যেখানে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত কোনো বিনিয়োগ নেই। এ অভিযোগটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন। সব মিলিয়ে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার কথিত আর আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে অভিযোগটি সাজানো এবং ভিত্তিহীন। তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন