রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় ডাকাতির অভিযোগে করা মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট আরিফ মোহাম্মদ ফিরোজ ইফতেখারসহ চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি আসামিরা হলেন- মুকুল হোসেন, হারুন অর রশিদ ওরফে রাকিব হাওলাদার, মোন্তাসির আহমেদ মাসুম।
সোমবার (২১ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেক আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রবিবার (২০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মিরপুর ডিওএইচএসের ১১ নম্বর সড়কের একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির যে ফ্ল্যাটটিতে ডাকাতি হয়েছে, সেটার মালিক একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। ঘটনার পর সন্দেহভাজনদের ধাওয়া করে একটি গাড়ি আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২০ জুলাই দুপুর ২টায় অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও অবৈধ মালামালের অভিযোগ তুলে আসামিরা নিজেদের ডিজিএফআই ও সেনাবাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে জোর করে বাসায় প্রবেশ করে। তারা মেয়েদের থেকে জোর করে আলমারির চাবি নিয়ে মোবাইল ফোন, গহনা, নেকলেসসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। ডাকাতদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় আর্মি কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন। পরে আর্মি চারজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।
জানা গেছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচটি মুঠোফোন, সোনা ও হীরার গয়না, ল্যাপটপ, তিনটি ঘড়ি, কিছু প্রসাধনী ও কয়েকটি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যরা বিভিন্ন মূল্যবান মালপত্র ব্যাগে ভরে নিয়ে বের হয়। এ সময় তাদের পরিচয় নিয়ে মিরপুর-১০-এর বাসিন্দা হারুনুর রশিদের সন্দেহ হয়। তিনি একটি মোটরসাইকেলে করে গাড়ির পিছু নেন এবং ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে গাড়িটি মিরপুর-১২ এনডিসি চেকপোস্টের কাছে পৌঁছলে সামনের আরেকটি গাড়ির কারণে তা আটকে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ওই চারজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন