জনতা ব্যাংকের ৮৩ কোটি টাকার ঋণ খেলাপির মামলায় এএফসি হেলথের ৬ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার অর্থঋণ আদালত।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৫ নাম্বার অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা হলেন- এএফসি হেলথ লিমিটেডের (কুমিল্লা ইউনিট) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম সাইফুর রহমান, জুয়েল খান, মো. আফজাল, মো. জিয়াউদ্দিন, মো. সাইদুল আমীন ও শামসুদ্দোহা তাপস।
মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জনতা ব্যাংকের ৮৩ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯৭ টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের এএফসি হেলথসহ পরিচালকদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য এই ঋণ নেওয়া হয়। তবে এই ঋণ গ্রহণের পর কয়েক বছর বাণিজ্যিকভাবে সাফল্যের সঙ্গে হাসপাতাল পরিচালনা করলেও বর্তমানে হাসপাতালটি বন্ধ রয়েছে। বিবাদীরা ঋণ গ্রহণের পর থেকে কোনো টাকাই পরিশোধ করেন নাই। বিবাদীরা ব্যবসায়িক লেনদেনের টাকা বাদী ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভিন্ন খাতে ব্যবহার করেছেন। ব্যাংকের পাওনার তুলনায় বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য অত্যন্ত অপ্রতুল। বন্ধকী সম্পত্তির সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি নয়।
বর্তমানে বিবাদীরা বিপুল দায়দেনা অনাদায়ি রেখে দেশত্যাগের পাঁয়তারা করছেন। তাই নাগরিকদের সঞ্চয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে জনতা ব্যাংক। নথি পর্যালোচনা করে বিচারক আদালতের আদেশ ব্যতীত এএফসি হেলথের ৬ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। একই সাথে বিবাদীদের উপস্থিতিতে দরখাস্ত শুনানি ও ৩ নম্বর বিবাদী জুয়েল খানের জবাব দাখিলের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মন্তব্য করুন