মারধরের মামলায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে সমন জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত নারাজীর আবেদন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাকিবের বাবা মো. সফিউল্লাহ তালুকদার, মা খালেদা সুলতানা ও দুলা ভাই মো. ইব্রাহিম খলিল খান।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী নাসিদুস জামান নিশান বলেন, এই মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত না হওয়ায় গত ৭ সেপ্টেম্বর নারাজির আবেদন করা হয়। ওইদিন আদালত ২১ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কাগজপত্র দাখিল করতে বলেন। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন এবং আমরা মেডিকেলের কাগজপত্র দাখিল করি। শুনানি শেষে আদালত নারাজীর আবেদন বিবেচনা করে ৩২৩/৫০৬/৩৪ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ মুক্তা আক্তার নামে এক তরুণী ঢাকার আদালতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলার করেন। ওইদিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে গত ৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল মনজুর অভিযোগ সত্য প্রতীয়মান হয়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ফেসবুকে নাজমুস সাকিবের সঙ্গে ভুক্তভোগী মুক্তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাকিব নিজের বিয়ে, স্ত্রী, সন্তানের বিষয়টি গোপন রেখে তার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকেন। তার কাছে থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও দেড় লাখ টাকার উপহার গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে সাকিবের সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়। সাকিবের ৩য় বিয়ের কথা জানতে পেরে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি তার বাড়িতে যান। ওইদিন আসামিরা তার ওপর চড়াও হয়ে চড় থাপ্পড়, কিল ঘুষি মারেন। তাকে গলা টিপে হত্যাচেষ্টা করা হয়। মেরে তাকে বাসা থেকে বের করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। পরদিন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা নেন। পরে ২০২৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের বাসায় গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী বিয়ের রেজিস্ট্রেশন দাবি করেন। তবে টাকা না দিলে রেজিস্ট্রেশন হবে না বলে জানান আসামিরা। ওইদিন তারা কোমরে ও পিঠে কিল ঘুষি ও লাথি মারে এবং বাসা থেকে বের দেন।
মন্তব্য করুন