ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলার আসামি সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল। তিনি এ মামলার সূচনা থেকেই পলাতক। এ হত্যাকাণ্ডের নয় বছর পার হলেও তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। তবে তিনি পলাতক থাকলেও ছেলে তামিমের মাধ্যমে বনানী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছেন। এই এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তানিম রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ভয়ভীতি দেখানোয় অনেক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মুখও খুলছে না ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, চঞ্চলের ছেলে তামিম বনানীর ১০ নং রোডের জি ব্লকের ৩১ নং বাসায় তামিম ইন্টারন্যাশনাল কনট্রাকটর নামে একটা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। তামিমের পিতা পলাতক চঞ্চল ফোন করে এ প্রতিষ্ঠানের জায়গার জন্য চুক্তি করেন। এখানে বসে তামিম ও তার সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজশে ফ্ল্যাটের অন্য মালিকদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি করেন। গত ৯ অক্টোবর ওই বাসার ৬ষ্ঠ তলার বি ব্লকের ফ্ল্যাট মালিক ফরহাদ আমিন খানের কাছে সার্ভিস চার্জের নামে চাঁদা দাবি করে তামিমের সহযোগীরা। তবে চাঁদা না দেওয়ায় ফ্ল্যাটের মালিককে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বনানী থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১০ অক্টোবর তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী কালবেলাকে বলেন, তামিম তার পিতার প্রভাব খাটিয়ে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ভয়ভীতি দেখান। যেকারণে কেউ মুখ খুলতে চায় না।
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমরা পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই বিপণিবিতানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র দেখে মিল্কির একসময়ের সহযোগী যুবলীগের আরেক নেতা জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ ভাড়াটে খুনিরা তাকে হত্যা করে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
ওই ঘটনায় মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এজাহারনামীয় ১১ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
মন্তব্য করুন