কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আনার হত্যা : আ.লীগ নেতা বাবুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন 

আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু। ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু। ছবি : সংগৃহীত

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুর ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

রোববার (৯ জুন) এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

বাবু ঝিনাইদহ জেলা শহরের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের মৃত রায়হান উদ্দিনের ছেলে। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন।

ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে আটক করা হয় আ.লীগ নেতা বাবুকে।

এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। শিমুল ভূঁইয়া ও বাবুর দেওয়া তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ডিবি।

এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবু ঝিনাইদহ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করেন। ওই জিডিতে ৩টি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর একটি আইফোন, একটি ভিভো এবং একটি রেডমি মোবাইল ফোন। জিডি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ার বাসা থেকে আটক করা হয় বাবুকে।

আটকের পর ডিবি জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর শাহীনের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয়েছে বাবুর। হয়েছে এসএমএস লেনদেনও। একসঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন তারা। উঠে এসেছে শাহীনের সঙ্গে বাবুর অর্থ লেনদেনের বিষয়ও। শিমুল ভূঁইয়া, বাবু এবং শাহীনের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।

বাবুকে আটকের পর তার বড় ভাই কাজী গিয়াস আহমেদ বলেন, চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধ (লাল পতাকা) প্রধান ডা. মিজানুর রহমান টুটুল আমাদের মামাতো ভাই। শিমুলের বোনকে বিয়ে করেছিলেন ডা. টুটুল। টুটুল শাহীনের আপন চাচাতো ভাই। সেই সূত্রে শিমুল, শাহীন উভয়ই আমাদের আত্মীয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে এমপি আনার চিকিৎসার উদ্দেশে কলকাতায় যান। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পর দিন দুপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন বলে ওই বাসা থেকে বের হলেও তিনি যান কলকাতা নিউটাউনের একটি আলিশান ফ্ল্যাটে।

সেদিন ওই ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন এমপি আনার। মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। ওইদিন ফ্ল্যাটে ছিলেন আমানুল্লাহ সাইদ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সালসহ অন্যরা।

আর এই হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন এমপি আনারের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন। যিনি হত্যার চূড়ান্ত ছক কষে আনার কলকাতা যাওয়ার আগেই দেশে ফিরে আসেন। হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ থেকে দিল্লি, কাঠমান্ডু, দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান শাহীন। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

 গাজায় দুর্ভিক্ষ হচ্ছে কিনা, জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কেন্দ্র দখল করলেই ভোট বাতিল : সিইসি

গোপালগঞ্জে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের ৬ নেতার পদত্যাগ

সিপিএলে সাকিবের ব্যর্থতা চলছেই, দল হারল ৮৩ রানে

কটাক্ষের শিকার আলিয়া

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বেন গুরিয়নের ফ্লাইট স্থগিত

ওজন কমাতে চা

‘কাউকে দোষারোপ করছি না’, বিভুরঞ্জনকে নিয়ে ছেলে ও ভাই

আজ ঢাকার বাতাসে দূষণের পরিমাণ কত?

রাজধানীতে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

১০

সেরা অধিনায়ক কে? অপ্রত্যাশিত নাম বলে চমকে দিলেন দ্রাবিড়

১১

মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১২

শাহরুখের ওপর বিরক্ত বোমান ইরানি

১৩

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১৪

প্রীতি ম্যাচ খেলতে কবে ভারত আসছে মেসির আর্জেন্টিনা জানাল এএফএ

১৫

নতুন করে মহাবিপদে পড়তে যাচ্ছে ইরান

১৬

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

১৭

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা

১৮

গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারে দগ্ধ ৯

১৯

২৩ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২০
X