সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভিসি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল সিমেবি

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা

ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গেল এক সাপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি নগরের জিন্দাবাজার পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এডহক) আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান পদত্যাগ না করে উল্টো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। আমরা তাদের পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করেন নি। তাই অনতিবিলম্বে আবারও আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

বক্তারা আরো বলেন, ভিসি এবং রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তারা।

এর আগে, গত সেমবার (১২ আগস্ট) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ান) মো. গোলাম সারওয়ার, সেকশন অফিসার লোকমান আহমদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জুয়েল, কর্মচারীদের মধ্যে আশরাফ আহমদ, নাদীম সীমান্ত, মাহফুজ আহমদ, জুবেদ আহমদ, রীনী রাণি প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এডহক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তাঁর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তাঁর পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাঁকে মদদ দিচ্ছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাস্তির হুমকির মধ্যে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢল

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস

গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী / জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা

জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্বের রায় নিয়ে জটিলতা

সাপ আতঙ্কে ঘুম হারাম

অসময়ের বন্যায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চরাঞ্চলের পাটচাষিদের

মিশরে ভয়ংকর সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৯  

খালি পেটে কখনোই যেসব কাজ করা উচিত নয়

অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

ইনিংস ব্যবধানে হারের পর যা বললেন শান্ত

১০

এই হাছিনা শেখ হাসিনা নয়, তবুও একাধিকবার স্কুলের নাম পরিবর্তন

১১

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের ক্ষতি কত, জানাল ব্লুমবার্গ 

১২

সোহরাওয়ার্দীতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ঢল

১৩

গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন 

১৪

কলম্বোয় ইনিংস ব্যবধানে হার বাংলাদেশের

১৫

ড. ইউনূসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে হৃদয়ছোঁয়া বার্তা রাষ্ট্রদূত মুশফিকের

১৬

বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি দিচ্ছে ইউনাইটেড হাসপাতাল

১৭

হ্যাজলউডের পাঁচ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়

১৮

ছাত্রলীগ নেতা পেলেন এনসিপির বড় পদ

১৯

এক বলের আঘাতেই অনিশ্চিত তিন ক্লাবের ভবিষ্যৎ

২০
X