বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ভারতের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভেঙে প্রতিবেশীর মতো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। ভারত সরকার যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে নাক না গলায়, তারা যেন তাদের দেশের আন্দোলন সামলায়। বাংলাদেশ আর ভারতীয় আধিপত্য মানবে না।
সীমান্তে বিএসএফের নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিবাদ সমাবেশ ও গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ফোরাম' নামে এক কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দিল্লি ও ঢাকার জনতাকে একত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং নদীতে বাঁধ তৈরি করে বাংলাদেশের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদ জানান।
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ করে বক্তারা বলেন, ভারতীয় জনগণের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের কোনো বিরোধ নেই, তাদের বিরোধ ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ফোরামের অন্যতম সংগঠক তুহিন খান বলেন, গত দেড় দশকের নিপীড়নের পর নতুন স্বপ্ন দেখানো দেশের স্বাধীনতা যাতে সর্বস্তরের মানুষের হয়। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বর্ডারে যত না খুন হয়েছে তার চেয়ে বেশি খুন হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারে। তিনি বক্তব্যে শহীদ আবরারের কথাও স্মরণ করেন।
তুহিন খান ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি আহ্বান রাখেন যে, তারা যেন খুনি হাসিনাকে তাদের ট্যাক্সের টাকায় না পোষে। এ ছাড়া তিনি ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সমতাভিত্তিক টেকসই পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নের দাবি উত্থাপন করেন। পাশাপাশি তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, সার্ক যাতে আবার সক্রিয় হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় বইপত্র, টিভি চ্যানেল ইত্যাদি সাংস্কৃতিক মাধ্যমের আধিপত্য থাকলেও, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলো ভারতে তেমন সুলভ নয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফয়সাল আহমেদ, আশরেফা খাতুন, মাইন আহমেদ, ইসরাত জাহান ইমুসহ অনেকে।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন