ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে দুই হলের ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাতজন আহত হন।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন এলাকায় শেখ রাসেল হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের কর্মীদের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন শেখ রাসেল হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মুফতায়িন আহমেদ সাবিক, ফারহান লাবিব ধ্রুব, সাদ্দাম হোসেন হলের তাজওয়ার আহমেদ তনয়, সাদিদ খান এবং জিয়া হলের কর্মী আকিব, রাকিব ও জাফর।
জানা যায়, আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ জেলার শাখার সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই।
আলোচনা সভা শেষে মিলনায়তন থেকে বের হওয়ার সময় মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা।
এ দিকে জিয়া হলের কর্মী আকিবের বিরুদ্ধে শেখ রাসেল হলের কর্মী সাবিক ও সাদ্দাম হলের কর্মী তনয়কে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে।
আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাকেন্দ্রের নার্স শামীমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করে আকিব বলেন, ‘আলোচনা শেষে জিয়া হল ও শেখ রাসেল হলের বড় ভাইদের মধ্যে ঝামেলা হয়। পরে শেখ রাসেল হলের কর্মীরা আমাদের হুমকি দেন। এ সময় আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। আমাকে মারার সময় আমি আঘাত ঠেকিয়েছি। এ সময় আমি নিচে পড়ে আহত হই। পরে আমাকে ভ্যানে করে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘আলোচনা শেষে অতিথিরা যাওয়ার পর সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় বন্ধুদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। বিষয়টি পরে মিটমাট হয়ে যায়।’
মন্তব্য করুন