হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

ছাত্রদলকর্মী শামীম আশরাফী ও হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর। ছবি : কালবেলা
ছাত্রদলকর্মী শামীম আশরাফী ও হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর। ছবি : কালবেলা

অবৈধভাবে হলে ওঠা নিয়ে খবর প্রকাশ করায় ছাত্রদলকর্মী শামীম আশরাফীর নেতৃত্বে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (হাবিপ্রবিসাস) অফিসকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, রোববার (২৯ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের ৫০৮ নম্বর কক্ষে অবৈধভাবে ওঠে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু এর আগেই একজনকে ওই কক্ষে সিট বরাদ্দ দেওয়ায় তাকে সিটটি ছেড়ে দিতে বলেন ওই হলের হল সুপার। এ ইস্যুতে সংবাদ প্রকাশ করায় রোববার রাত থেকেই সাংবাদিক সমিতির বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী।

শামীম আশরাফী নামের এক ছাত্রদল কর্মী হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিকে ক্ষমা চাওয়ার এবং তা না করলে নতুনভাবে সাংবাদিকতা শেখানো হবে বলে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

ঘটনার একপর্যায়ে সোমবার (৩০ জুন) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় শামীম আশরাফী আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সমিতির অফিসরুমে আসেন এবং ক্যাফেটেরিয়ায় থাকা কর্মচারীর থেকে অফিসরুমের চাবি দাবি করেন।

চাবি না দেওয়ায় শামীম অফিসের তালা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন এবং লাথি মেরে অফিসরুমের কাচের দরজা ভেঙে ফেলেন। তবে ওই সময় ওই কক্ষে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির কোনো সদস্য ছিলেন না। অফিসে কাউকে না পেয়ে তারা সেখানে ভাঙচুর চালায়।

হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক বার্নার্ড পলাশ জানান, শামীম আশরাফী নামের কাউকে চিনি কিনা মনে পড়ছে না। নাম ধরে কাউকে মনে নেই। সাংবাদিক সমিতির রুম ভাঙচুরের বিষয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়নি।

এদিকে ক্যাম্পাসে শামীম আশরাফীকে হাবিপ্রবি ছাত্রদলের সব প্রোগ্রামে সামনের সারিতে ক্যাম্পাস ছাত্রদল আহবায়ক ও সদস্য সচিবের পাশে দেখা গেছে।

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন, হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অফিসরুম ভাঙচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য কালো থাবা। এমন নিকৃষ্ট কাজ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আমলেও করার কেউ সাহস দেখায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠনকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, ভাঙচুর হওয়া অফিস রুম পরিদর্শন করেছি এবং আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এ ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা এবারই প্রথম। প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় আমি একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। যারা যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমি নিজে বিষয়টি দায়িত্ব নিয়ে দেখব এবং প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাড়ি রাখা, অগোছালো পোশাক আর মেনে নেওয়া হবে না : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

গাজামুখী নৌবহর থেকে সরে দাঁড়াল ইতালি

অবশেষে নেপালের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়

বিশ্বকাপে ভারতের শুভসূচনা

বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলে দুঃসংবাদ

এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

পূজায় কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

হাসপাতালের বিছানায় সাবেক মন্ত্রীর বিতর্কিত ছবি নিয়ে যা বলছে কারা কর্তৃপক্ষ

বিএনপির পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নর্থ আমেরিকা পররাষ্ট্র কমিটির বৈঠক

১০

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সকলে মিলে দেশ গড়বো : ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ

১১

বকেয়া বিল আদায়ের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

১২

ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : সেলিমুজ্জামান 

১৩

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’

১৪

চবির ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম অভিযোগ গেল দুদকে

১৫

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

১৬

চারদিন পর খাগড়াছড়িতে অবরোধ স্থগিত

১৭

চলতি অর্থবছর কেমন হবে, জানাল এডিবি

১৮

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবাই মিলে দেশ গড়ব : ড. ফরিদুজ্জামান

১৯

সিপিআর বাঁচাতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লাখো প্রাণ

২০
X