কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডাকসুর ভিপি-জিএস কী সুযোগ-সুবিধা পান

ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম ও জিএস এস এম ফরহাদ। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম ও জিএস এস এম ফরহাদ। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ইতিহাস গড়ে এ নির্বাচনে অধিকাংশ পদে জয় পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এই বিজয় দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ডাকসুর ভিপি ও জিএস পদ দুটি সম্মান ও ক্ষমতার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাকসুর দুই পদ ভিপি ও জিএসকে নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের যেন শেষ নেই। সবার মনে একটি সাধারণ প্রশ্ন, ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত ভিপি ও জিএসের কী কী সুযোগ-সুবিধা পান?

দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিপি ও জিএস পদে থাকা ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দুই সংস্থা—সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ার সুযোগ পান। সেখানে তারা ঢাবির হাজারো শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে পারেন। একই সঙ্গে ছাত্রদের স্বার্থবিরোধী কোনো বিষয় এলে সেখানেই তারা প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ পান।

এ দুই বডিতে তারাও অন্য সদস্যদের মতো সমান ক্ষমতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা, বাজেটসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

নীতিনির্ধারণী সভাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব কার্যক্রমেই কোনো না কোনোভাবে ভিপি ও জিএসের সম্পৃক্ততা থাকে। সমাবর্তনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অনুমোদন এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার কমিটিতেও তারা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া সিলেকশন বোর্ডে, যেখানে নিয়োগ বা চাকরি থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়, সেখানেও তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ভূমিকা থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ বৈঠক হলে, ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তারাও তাতে অংশ নেন।

তবে এসব দায়িত্ব পালনের জন্য তারা নিয়মিত কোনো বেতন-ভাতা পান না। শুধু সিনেট বা সিন্ডিকেটের বৈঠকে যোগ দিলে একটি নির্দিষ্ট ভাতা দেওয়া হয়। আর সিন্ডিকেট বা অন্য কোনো বডি বিশেষ কোনো দায়িত্ব অর্পণ করলে, কর্তৃপক্ষ চাইলে তার জন্য সম্মানীও প্রদান করতে পারে। তবে এক বছরের জন্য ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে তারা এককালীন অর্থ বরাদ্দ পান। এই অর্থ মূলত চা-নাস্তা ও অন্যান্য খরচের জন্য ব্যবহার করা হয়। ভিপি ও জিএসের জন্য মোট ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা ভিপির জন্য এবং পাঁচ লাখ টাকা জিএসের জন্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাকিবকে নিয়ে যা বললেন আকাশ চোপড়া

মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবদল নেতাসহ নিহত ২

১১ সন্তানের বাবাকে ইসরায়েলের বড় দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

আগামী নির্বাচনে প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবে : সিইসি

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটা প্রস্তুতিও ভালোভাবে গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন : আরিফ

সাংবাদিকতার মূল মন্ত্র হচ্ছে মিথ্যার সঙ্গে আপোস না করা : কাদের গনি চৌধুরী 

মার্কিন-ইসরায়েল হামলার আতঙ্কে মিশর

প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে সব ম্যাচ অফিসিয়ালই নারী

জাকসু নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১০

ফজিলাতুন্নেসা হলে ভোটগ্রহণ বন্ধের কারণ জানালেন নির্বাচন কমিশনার

১১

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

১২

ফেনীতে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২০ তরুণ

১৩

আদালতে যাওয়ার পথে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত

১৪

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিলের আবেদন

১৫

শুরু হলো নিশোর ‘দম’-এর শুটিং

১৬

জামায়াত আমিরের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৭

শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের পর এবার নেপাল, দুশ্চিন্তায় ভারত

১৮

বন্ধুর পার্টিতে গিয়ে ছাত্রলীগ সন্দেহে আটক ৩৯ কিশোর

১৯

গুলশান থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার

২০
X