কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নেপালের পর এবার ভারতেও আন্দোলন শুরু

বিহারে রাস্তায় চাকরিপ্রত্যাশীরা। ছবি : সংগৃহীত
বিহারে রাস্তায় চাকরিপ্রত্যাশীরা। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে যেন তৈরি হচ্ছে ডমিনো ইফেক্ট। নেপালে যখন জেনারেশন জেড তরুণদের বিক্ষোভে রাজপথ প্রকম্পিত, ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী ভারতেও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। বিহার রাজ্যে হাজার হাজার চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষকের শূন্যপদ কমানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। ফলে রাজধানী পাটনার প্রধান সড়কগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হলো চতুর্থ দফা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টিআরই-৪)। চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, সরকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শূন্যপদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রায় তিন হাজার তরুণ পাটনা কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের বাসভবনের উদ্দেশে মিছিল শুরু করেন। কেতন মার্কেট, বকরগঞ্জ, গান্ধী ময়দান হয়ে ডাকবাংলো স্কয়ার পর্যন্ত এই মিছিল ছড়িয়ে পড়লে শহরের বেশিরভাগ অংশ অচল হয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারের পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। অথচ শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা দেন, এবার নিয়োগ দেওয়া হবে মাত্র ২৬ হাজারের কিছু বেশি পদে। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীরা।

ছাত্রনেতা দিলীপ কুমার অভিযোগ করেন, “যখন ডোমিসাইল নীতি কার্যকর হয়নি, তখন সরকার কখনো ৫০ হাজার, কখনো ৮০ হাজার, আবার কখনো ১ লাখ ২০ হাজার শূন্যপদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু নিয়ম চালু হওয়ার পর সেই সংখ্যা কমিয়ে ২৭ হাজার ৯১০ করা হয়েছে। এটি বিহারের তরুণদের সঙ্গে স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা।”

তার ভাষায়, আগে বাইরের রাজ্যের প্রার্থীদের টানতে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি শূন্যপদের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল। এখন স্থানীয়দের জন্য সুযোগ রাখতেই পদ সংখ্যা অযৌক্তিকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে তরুণদের মধ্যে গভীর হতাশা ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বহুবার প্রকাশ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ এখন সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সরকার তরুণ সমাজকে ঠকাচ্ছে।

এদিকে, সামনে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুটি রাজনৈতিকভাবে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। চাকরিপ্রত্যাশীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, পূর্ণ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করা হলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর আকার ধারণ করবে।

সূত্র : ফ্রি প্রেস জার্নাল

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেগম রোকেয়া এবার মঞ্চে 

কার বক্তব্যে মুগ্ধ পরী?

রাউজানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলোর পাশে অধ্যক্ষ ইলিয়াস নূরী

অভিমানের পর আবার নোয়াখালী দলে ফিরলেন সুজন

সিলেটে দেশের ২৪তম স্থলবন্দরের যাত্রা শুরু 

নিখোঁজ সেই ‘কোপা শামছুর’ লাশ উদ্ধার 

ইউক্রেনের আরও বিশাল এলাকা দখলে নিল রাশিয়া

মাত্র ৩০ আসনে এনসিপি জামায়াতের সঙ্গে জোটে গেলে ব্যাপারটা আত্মঘাতী

‘কারিনা কাপুর আমার স্ত্রী ছিলেন’, দাবি ‘মুফতি’ কাভির

মারা গেলেন ফিলিস্তিনি নির্মাতা মোহাম্মদ বাকরি

১০

মালিকানা বদলের পর ১ কোটি ১০ লাখ টাকা কী পাবেন নাঈম?

১১

আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো তথ্য মিথ্যা : কারা কর্তৃপক্ষ

১২

পুরুষদের হরমোন ভারসাম্যহীনতার প্রাথমিক ৫ লক্ষণ

১৩

তারেক রহমানের ভূমিকা ও পরিকল্পনায় নজর থাকবে : জামায়াত আমির

১৪

বন্দিদের মুক্তির নামে প্রতারণা, জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান

১৫

নবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতায় দেশ পরিচালনা করব : তারেক রহমান

১৬

তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো : আখতার

১৭

এলডিপির দায়িত্বে চাঁদপুরের বিল্লাল হোসেন

১৮

১২ কেন্দ্রে হবে জবির বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা, আসনপ্রতি লড়বে ৮৫ জন

১৯

অবশেষে হাসপাতালে মায়ের পাশে তারেক রহমান

২০
X