প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি হলো শৃঙ্খলাবিধি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৯ তম সিন্ডিকেট সভায় এ শৃঙ্খলাবিধি পাস হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য আচরণ বিধি প্রণয়ন করার থাকলেও শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিধিমালা পাশ হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে শৃঙ্খলাবিধির সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, এই আইন শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য পাস হয়েছে। কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য হবে না। আইনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে এবং অনুমোদন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সংযুক্ত হবে।
এদিকে বিভিন্ন সময়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থী বহিষ্কার করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ৭ই মার্চ লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী হৃদয়কে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২ আগস্ট ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলে শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করে প্রশাসন। পরে শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেটে বিষয়টি পাস হয় বলে জানা যায়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ‘আইন ২০০৬’ ৩২নং ধারার ১,২,৩ অনুচ্ছেদ এ বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শৃঙ্খলা বোর্ড থাকবে,’ ‘শৃংখলা বোর্ডের গঠন, ক্ষমতা, মেয়াদ ও কার্যাবলী বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে,’ ‘শৃঙ্খলা বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করবে।’
মন্তব্য করুন