প্রশাসনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণ দেখিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ্য মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদারের পদত্যাগের পর বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার দপ্তর মাহবুবুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সিল সংবলিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।
চিঠিতে তিনি বলেন, ‘জনাব আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমি গত ০৮/১১/২০১৯ ইং তারিখ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে আমি গণমাধ্যম উপদেষ্টা পদত্যাগ করছি। অতএব, উপর্যুক্ত প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ ছাড়াও তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে প্রশাসনের ৮টি অনিয়ম ও অবস্থাপনার বিষয় তুলে ধরেন। শিক্ষক নিয়োগের সীমাহীন অনিয়ম, উপাচার্যের একক কর্তৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের অবৈধ অনলাইন পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অর্থ ব্যয়ে অস্বচ্ছতা, যথাযথ নিয়ম না মানা, উপাচার্য কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী তৈরি করা এবং এই ক্যাডারদের দ্বারা শিক্ষকদের পেটানো, গালিগালাজ করা, পদোন্নতির শর্ত না পূরণ করা সত্ত্বেও কতিপয় শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়া, পদোন্নতির শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও শিক্ষকদের এক অংশকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা, শিক্ষকদের পদোন্নতি সময় অবৈধ শর্ত প্রদান করা, পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনায় এসব শর্ত প্রদান করা, আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব হস্তান্তর না করা, উপাচার্যের পছন্দের লোকদের আইন লঙ্ঘন করে এসব দায়িত্ব প্রদান করা।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের ২২ মার্চ দশ দায়িত্ব পালনে উপাচার্যের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা ও অস্বস্তিবোধের কথা বলে পদত্যাগপত্র জমা দেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
মন্তব্য করুন