শিক্ষা কমিশন গঠন করা হলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এটা ভাবার দরকার নাই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘বাজেট ২০২৫-২৬ : শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান, সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফ প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এবারের শিক্ষা খাতে দু-একটা ভালো কাজ হয়েছে। তবে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা আছে। কারিগরি বিষয়েও বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক রিসার্চের বাজেট ২১ কোটি টাকা। কেউ যখন বলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনাদের স্থান কত, তখন আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের তুলনায় আমাদের বাজেট কতটুকু তা তুলে ধরি।
শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, শিক্ষা খাতে সমস্যা নেই, এটা কিন্তু নয়। টাস্কফোর্স থেকে আমরা কিছু সমস্যা শনাক্ত করতে পেরেছি। যারা এসব নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের আহ্বান করবো মন্ত্রণালয়ে। এ সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষা কমিশন হিসেবে পরিচিত কুদরাত-এ-খুদা কমিশন। সেটা গঠিত হওয়ার পর রিপোর্ট জমা দিতে কয়েক বছর সময় লেগে গিয়েছিল।
উপদেষ্টা বলেন, আজকে বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। হাই ইম্পেক্টেট (উচ্চ প্রভাবিত) সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আমাদের সময়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর মধ্যেও আমাদের কাজ করার আছে।
মন্তব্য করুন