ঢাকার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘আই হেলথ ক্যাম্পেইন ২০২৫’। সোমবার (২৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়টির সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের আয়োজনে এবং ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে ২৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী চক্ষুসেবা গ্রহণ করেন। প্রাথমিক চক্ষু পরীক্ষার পাশাপাশি চোখের যত্ন ও সচেতনতামূলক তথ্যও অংশগ্রহণকারীদের প্রদান করা হয়। ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতালের ৯ জনের একটি দল এতে অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ছিলেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক, অপ্টোমেট্রিস্ট, কাউন্সেলর, নার্স ও অন্যান্য সহায়ক স্টাফ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের আহ্বায়ক ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল কবির ও ইস্পাহানি ইসলামিয়া হাসপাতালের প্রতিনিধি ড. দেলোয়ার হোসেন খান।
এছাড়াও বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার অধ্যাপক এ এইচ এম ফারুক, রেজিস্ট্রার মো. সাকির হোসাইন, স্কুল অব ল-এর ডিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. জাহেদুর রহমান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এডমিন ডিরেক্টর, মিসেস আফরোজা হেলেন, অ্যাডমিশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড জাহিদ হাসান।
বক্তারা চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এমন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন যা শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি করতে সহায়ক। লাইভ চেকআপ এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এই আয়োজনটি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চোখের প্রাথমিক সমস্যা শনাক্ত করার সুযোগ পান এবং যাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের জন্য ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের রেফারাল কার্ড প্রদান করা হয়।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক ও এক্সিকিউটিভ প্যানেল সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরো অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতেও পড়ালেখা ও গবেষণার পাশাপাশি জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে ক্লাবগুলোর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের অধিকহারে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
মন্তব্য করুন