কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘মাকে হাসপাতালে রেখে দেরিতে পরীক্ষার হলে’, সেই আনিসার তথ্যের সত্যতা মেলেনি

আনিসা আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
আনিসা আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ঠিক সময়ে পরীক্ষার হলে আসতে পারেননি আনিসা আহমেদ। যে কারণে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এরপর সেদিন তিনি কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছিলেন, অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে হয়েছিল তাকে। সেজন্য কেন্দ্রে আসতে দেরি হয়েছে। কিন্তু তার দেওয়া সেই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনিসার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত হতে একই সঙ্গে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একটি কমিটি করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং আরেকটি কমিটি করা হয় আনিসার পরীক্ষা কেন্দ্র সরকারি বাঙলা কলেজের পক্ষ থেকে। দুপক্ষের তদন্তে ঘটনা সম্পর্কে আনিসার বর্ণনা অনুযায়ী সত্যতা মেলেনি। সেজন্য আনিসাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। তবে আনিসা যদি বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় ৬৬ নম্বর পায়, তাহলে দুই পত্র মিলিয়ে তাকে পাস করিয়ে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘ওই ছাত্রীর (আনিসা) পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাইয়ের কাজ করা হয়েছে। সেগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। সে পরীক্ষা না দিয়েও পাস করতে পারে। সেক্ষেত্রে তাকে দুই পত্র (বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র) মিলিয়ে ৬৬ নম্বর পেতে হবে। তাহলে তার রেজাল্ট আসবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব ও ঢাকা বোর্ডের দুজন কর্মকর্তা জানান, মায়ের অসুস্থতা নিয়ে আনিসা যেভাবে তথ্যগুলো দিয়েছিল, তার সত্যতা মেলেনি। তার মা ওই হাসপাতালের নিয়মিত রোগী। সেদিন সকালে যে হঠাৎ সেখানে ভর্তি হয়েছিল, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল; এমন তথ্যেরও সত্যতা মেলেনি। এমনকি হাসপাতালে ভর্তির যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আনিসা আমাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেনি। ঢাকা বোর্ড ও বাঙলা কলেজ যে তদন্ত কমিটি করেছিল, তারা আমাদের কাছে হাসপাতালে ভর্তির স্লিপসহ কিছু তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিল। আমরা সেগুলো আনিসার কাছ থেকে নিয়ে কমিটিকে দিয়েছিলাম। এখন শিক্ষার্থী যদি ভুয়া স্লিপ এনে দেয়, তাহলেও তো আমাদের কিছু করার নেই। সেটার সত্যতা তদন্ত কমিটি যাচাই করেছে। যতদূর জেনেছি, ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় বোর্ড তার আর পরীক্ষা নিচ্ছে না। এখন যে উপায়টা আছে, তা হলো দুই পত্র মিলিয়ে ৬৬ নম্বর পেলে পাস ধরা হয়। সেক্ষেত্রে বাংলা দ্বিতীয়পত্রে আনিসা ৬৬ পেলে এবং বাকি সব বিষয়ে পাস করলে; সে পাস করে যাবে।’

এর আগে এইচএসসির প্রথম দিনে সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের সামনে আনিসার ছোটাছুটি ও কান্নার সেই ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান নেটিজেনরা। তাকে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবিও উঠে। সেই দাবি মেনে আনিসাকে পরীক্ষায় বসানো হবে বলে ঘোষণাও দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বোর্ড।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাটডাউন এড়াতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস

১৩ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

জালনোটসহ তিন কিশোর আটক

ঢাকায় শীত অনুভব, সকালে তাপমাত্রা নেমে ১৯ ডিগ্রিতে

চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে রেকর্ড অভিবাসীর মৃত্যু

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

গভীর রাতে চলন্ত বাসে আগুন

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চাই : মান্না

১০

মোটরসাইকেলে এসে আগুন দিয়ে পালাল দুর্বৃত্তরা

১১

জামালপুরে একাধিক পয়েন্টে চেকপোস্ট

১২

পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১৩

ইভ্যালির রাসেলের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড

১৪

সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ আটক ৪

১৫

ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার

১৬

আ.লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পড়ে ছিল ৯ রাউন্ড গুলির খোসা

১৭

উত্তরায় যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

১৮

জবি ছাত্রী হলে ছাত্রদলের উপহার সামগ্রী বিতরণ

১৯

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার কফিল উদ্দিনের

২০
X