

নিউজিল্যান্ডে একটি গহনার দোকান থেকে অভিনব কায়দায় চুরি করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তিনি প্রায় ৩৩ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা প্রায় ১৯ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ লাখ ২২ হাজার ১১৭ টাকা) মূল্যের একটি ফ্যাবার্জে পেনডেন্ট গিলে ফেলেন। এখন সেই প্রমাণ উদ্ধারের জন্য প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। গত ২৮ নভেম্বর অকল্যান্ডের পার্ট্রিজ জুয়েলার্স নামের একটি দোকান থেকে একটি অলংকৃত ফ্যাবার্জে ‘অক্টোপাস পেনডেন্ট’ গিলে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত ৩ ডিসেম্বর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) পুলিশ জানায়, এখনো চুরির সেই পেনডেন্ট উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এক বিবৃতিতে ইন্সপেক্টর গ্রে অ্যান্ডারসন বলেন, গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো পেনডেন্টের কোনো খোঁজ মেলেনি।
অভিযোগ অনুযায়ী, চুরির ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দোকানের ভেতর থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৯ নভেম্বর তিনি অকল্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির হন। তবে চুরির অভিযোগে তখনো তিনি দোষ স্বীকার বা অস্বীকারের কোনো বক্তব্য দেননি।
চুরি হওয়া বলে দাবি করা পেনডেন্টটি ১৯৮৩ সালের জনপ্রিয় জেমস বন্ড চলচ্চিত্র অক্টোপাসি থেকে অনুপ্রাণিত একটি সীমিত সংস্করণের ফ্যাবার্জে ডিম আকৃতির অলংকার। ছবিটির কাহিনির কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিল চোরাচালানের ঘটনা।
দোকানটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, এ ধরনের মাত্র ৫০টি পেনডেন্ট তৈরি করা হয়েছে। সোনার তৈরি এই অলংকারে সবুজ এনামেল ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে বসানো রয়েছে ১৮৩টি হীরা ও দুটি নীলা। পেনডেন্টটির উচ্চতা প্রায় ৮ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার এবং এটি একটি স্ট্যান্ডের ওপর স্থাপন করা থাকে।
বর্ণনায় আরও বলা হয়, ডিমটি খুললে ভেতরে দেখা যায় ১৮ ক্যারেট হলুদ সোনায় তৈরি একটি অক্টোপাস, যার শুঁড়ের অংশে সাদা হীরা এবং চোখে কালো হীরা বসানো। এটি অক্টোপাসি চলচ্চিত্রের মূল প্রতিপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত হিসেবেই নকশা করা।
পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি হেফাজতে থাকায় তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তাদের দায়িত্ব রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। সময় এবং হজমপ্রক্রিয়াই ঠিক করে দেবে, এই ঘটনায় আরেকটি ‘অক্টোপাস সারপ্রাইজ’ সামনে আসে কি না।
মন্তব্য করুন