এ কে আজাদের হলফনামার দ্বৈত নাগরিকের তথ্য গোপন, সম্পদবিবরণী ও নির্ভরশীলদের বিষয়ে ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন ফরিদপুর ৩ আসনের নৌকার মাঝি শামীম হক। তবে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে করা শামীমের আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে একে আজাদের প্রার্থিতা বহাল থাকল।
অপরদিকে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে নিজ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদের আপিলের প্রেক্ষিতে এরই মধ্যে প্রার্থিতা হারিয়েছেন ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হক।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন মিলনায়তনে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই রায় দিয়েছেন। শুনানিতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। উপস্থিত ছিলেন অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব।
শুনানি শেষে এ কে আজাদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের আইনজীবী একটি অভিযোগ দাখিল করেন। তাতে বলা হয়, এ কে আজাদ আমেরিকারও নাগরিক। শুক্রবার কমিশন শুনানিতে শামীম হকের আইনজীবীর কাছে জানতে চায় তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে কি না। জবাবে তারা বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। পরে তথ্যপ্রমাণ না থাকায় এ কে আজাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে দেয় ইসি।
অপরদিকে, দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তথ্যপ্রমাণসহ শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবিতে আপিল করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। নির্বাচন কমিশন সেই আপিল মঞ্জুর করে শুক্রবার। গত ৮ ডিসেম্বর এ কে আজাদের পক্ষে আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া এ আপিল আবেদন ইসিতে জমা দেন।
আপিলে বলা হয়, শামীম হকের নেদারল্যান্ডসের পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নম্বর-BESHC8751, জন্ম তারিখ ২১ অক্টোবর ১৯৬০ লেখা আছে। শামীম হক সম্প্রতি তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে এক দরখাস্ত দাখিল করেন। সেই দরখাস্তের ২৫ নং কলামে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে তিনি টিক মার্ক দিয়েছেন। ২৬ নং কলামে অন্য দেশের নাগরিক থাকলে সেই দেশের নাম উল্লেখ করতে বলা হয়েছে, সেখানে তিনি নেদারল্যান্ডস উল্লেখ করেছেন। ২৭ নম্বর কলামে তার নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট নম্বর BY60F0J74 উল্লেখ করা আছে।
মন্তব্য করুন