বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় দিয়েছেন।
শাম্মী আহমেদের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে ইসিতে আপিল করেছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ।
এদিক, আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পঞ্চম ও শেষ দিনের মতো নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে সকাল থেকেই সমর্থকদের নিয়ে ইসিতে হাজির হয়েছেন প্রার্থীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে শুরু হয় এই শুনানি। এতে অন্য চার কমিশনারও উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ৯৯টি আবেদনের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পান ৪৩ জন। তবে আপিল মঞ্জুর হয়নি ৫২ জনের। এদিন ঋণখেলাপির দায়ে ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালামের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুরুল আলম। বহাল আছে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও পটুয়াখালী-১ আসনের রুহুল আমিন হাওলাদারের প্রার্থিতাও।
গত বুধবার চতুর্থ দিনে (১৩ ডিসেম্বর) ৪৫ জন, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনে ৬১ জন, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনে ৫১ জন এবং গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। গত পাঁচ দিনের শুনানিতে এ পর্যন্ত ২৬৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চলবে। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
মন্তব্য করুন