নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে জালভোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরার পরেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের কর্মী ও স্থানীয় তাতু মিয়ার ছেলে কানু ও মহিন জালভোট দেওয়ায় সময় তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। জাল ভোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরার পরেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ ছাড়াও সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের শীলমুদ কেন্দ্রেভোট কক্ষ থেকে ভোটের বাক্স অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী তা প্রতিরোধ করেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মোহা. আতাউর রহমান ভূঁইয়া এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনটি ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ১১৮ টি ভোটকেন্দ্রের ৭৬০টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪ শত ৬৪ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯ শত ৭২ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪ শত ৯১ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ১ জন।
মন্তব্য করুন