

২০০০ সাল। মুক্তি পেল বলিউড সিনেমা ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। আর এই এক ছবিতেই রাতারাতি পাল্টে গেল হৃতিক রোশনের জীবন। প্রথম ছবিতেই তার আকাশছোঁয়া সাফল্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, মাত্র এক মাসের মধ্যে তার কাছে প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল! সম্প্রতি ভারতীয় একটি জনপ্রিয় টক শো-তে অংশ নিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সেই উন্মাদনার কথাই শোনালেন বলিউডের এই ‘গ্রিক গড’।
হৃতিক জানান, সিনেমাটি সুপারহিট হওয়ার পর তার বাড়ির সামনে প্রতিনিয়ত ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকত। বিশেষ করে তরুণী ও তাদের অভিভাবকরা হৃতিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। প্রতিদিন সকালে জানালার পর্দা সরালেই হৃতিক দেখতেন বাড়ির প্রধান ফটকে দীর্ঘ লাইন।
পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর গল্প ভক্তদের এই বিশাল ভিড় সামলানো তখন হৃতিকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। অভিনেতা জানান, সেই সময় ভক্তদের চোখ এড়িয়ে নিজের প্রেমিকা সুজান খানের সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যে বাড়ির পেছনের দরজা ব্যবহার করতেন তিনি। সামনের গেটে যখন হাজারো তরুণী তার একঝলক পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে, তখন পেছনের দরজা দিয়ে চুপিচুপি প্রেমিকার কাছে ছুটতেন হৃতিক।
সাফল্য ও ব্যক্তিগত জীবন পর্দায় সুপুরুষ চেহারা, নাচ এবং অভিনয়ের জাদুতে হৃতিক তখন ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে সেনসেশন। তবে ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব বা আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা—কোনো কিছুই তাকে তার ভালোবাসা থেকে টলাতে পারেনি। ভক্তদের হৃদয় ভেঙে ২০০০ সালেই অভিনেতা সঞ্জয় খানের কন্যা ও তার বাল্যবন্ধু সুজান খানকে বিয়ে করেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও তার জনপ্রিয়তায় তখন বিন্দুমাত্র নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
মন্তব্য করুন