

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় ২৯ বছর পর আদালতের নির্দেশে আত্মহত্যা নয়, এবার ‘হত্যা মামলা’ হিসেবে শুরু হয়েছে তদন্ত। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালেই রমনা থানা পুলিশ ১১ জনকে আসামি করে চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তে মাঠে নামে। ইতোমধ্যেই তাদের দেশত্যাগে জারি হয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে পুলিশের আনুষ্ঠানিক চিঠিও। আসামিদের গ্রেপ্তার নিয়ে রমনা পুলিশের খোলামেলা বক্তব্যে নতুন করে নাড়া লেগেছে গোটা দেশজুড়ে এবং আবারও আলোচনার কেন্দ্রে সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য।
সালমান হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, ‘সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন দেশের বাইরে আছেন। যারা দেশে আছেন তাদের অবস্থান তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এদিকে সালমানের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সে রাতের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভী আহমেদ ফরহাদ। এরপরই নতুন করে আলোচনায় আসে দীর্ঘ ২৮ বছর আগে ১৯৯৭ সালের রেজভীর দেওয়া একটি জবানবন্দি।
ওই জবানবন্দিতে রেজভী সালমান শাহর হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা সালমান শাহকে হত্যা করেছি। হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে সাজানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে সামিরা ও তার পরিবারসহ অনেকে জড়িত। হত্যাযজ্ঞে আমিও ছিলাম।’
১৯৯৭ সালের ১৬৪ ধারার সেই জবানবন্দিতে তিনি আরও জানান, সালমান শাহর মৃত্যু ছিল ১২ লাখ টাকার এক হত্যার চুক্তি। যে চুক্তি করেছিলেন সালমান শাহর শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। এ হত্যা চুক্তিতে আরও ছিলেন বাংলা সিনেমার খলনায়ক ডন, ডেভিড, ফারুক ও জাভেদ।
মন্তব্য করুন