

এক যুগ পর আবার মুখোমুখি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ও থাইল্যান্ড। কিন্তু ফলের পুনরাবৃত্তি হলো ইতিহাসের পাতায়— ফারাকটা শুধু গোলের ব্যবধানে। ২০১৩ সালে ৯-০ গোলের পরাজয়ের পর এবারও হারতে হলো ৩-০ ব্যবধানে। এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির শুরুটা তাই সুখকর হলো না ঋতুপর্ণা-আফিদাদের জন্য।
ব্যাংককে আজ অনুষ্ঠিত ফিফা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রীতি ম্যাচে থাইল্যান্ড শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল খেলার। প্রথমার্ধে একটি গোল হজম করার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুইবার জাল কাঁপায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানেই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
ম্যাচটি ছিল ‘ক্লোজড ডোর’— অর্থাৎ দর্শকশূন্য, এমনকি টেলিভিশন সম্প্রচারও হয়নি। ফলে বাংলাদেশের সমর্থকরা খেলা সরাসরি দেখতে পারেননি। বাফুফের মিডিয়া বিভাগ ম্যাচের তথ্য দিলেও গোলদাতা বা সময়ের বিস্তারিত জানায়নি।
এই প্রীতি সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য নারী এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এটি আয়োজন করা হয়েছে। জুলাইয়ে বাছাইপর্বে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা পায় ঋতুপর্ণারা।
অন্যদিকে, থাইল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরেই এশিয়ান কাপের নিয়মিত মুখ। তবে এবারের আসরে ভারতের বিপক্ষে হেরে তাদের টিকিট কাটা হয়নি। তবু অভিজ্ঞতা ও পরিণতিতে তারা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে, যা দেখা গেল মাঠেও। ফিফার সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়েও দুই দলের পার্থক্য স্পষ্ট— থাইল্যান্ড ৫৩তম, আর বাংলাদেশ ১০৪তম।
বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফ অবশ্য এখনো আশাবাদী। তাদের বিশ্বাস, প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো ঠিক করে ২৭ অক্টোবরের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আরও লড়াকু বাংলাদেশ দেখা যাবে।
দীর্ঘ প্রস্তুতি ও স্বপ্নের টুর্নামেন্টের আগে এই হার হয়তো হতাশার, তবে শিক্ষা হিসেবে এটিই হতে পারে বড় লাভ— বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য, যারা প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেমেছেন এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।
মন্তব্য করুন