বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহর রহস্যময় মৃত্যুর প্রায় ৩০ বছর পর ঘটনাটি আবারও আলোচনায় এসেছে। এবার এই মৃত্যু নিয়ে অপমৃত্যুর বদলে হত্যা মামলা হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ঢাকার রমনা থানায় সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম এ মামলাটি দায়ের করেন। তিনি সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
নতুন এই মামলায় সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি এবং চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ মোট ১১ জন। মামলায় আরও কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। খলনায়ক ডন এ মামলার ৪নং আসামি।
একই দিনে, ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আগের অপমৃত্যু মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন এবং এটি হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়ার আদেশ দেন। এর পরপরই আলমগীর কুমকুম থানায় গিয়ে মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর সালমান শাহর পরিবার ও আইনজীবীরা বলেন, তারা ১৯৯৬ সাল থেকে বলে আসছেন যে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তবে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআই বলেছিল, এটা আত্মহত্যা। সালমানের পরিবার তখন থেকে সেই রিপোর্ট মেনে নেয়নি।
আলমগীর কুমকুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সালমান শাহর বাবা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করানোর জন্য; কিন্তু জীবদ্দশায় তা সম্ভব হয়নি। এখন, এতদিন পর সেই পদক্ষেপ নেওয়া গেল। ইনশাআল্লাহ প্রমাণ হবে এটা সত্যিই হত্যা ছিল।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে সালমান শাহর নিজ বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন থেকেই শুরু হয় নানা রকম প্রশ্ন আর জল্পনা। তার মৃত্যু কি আত্মহত্যা ছিল, নাকি ছিল পরিকল্পিত হত্যা—এ নিয়েই ছিল ধোঁয়াশা।
এখন, এই নতুন হত্যা মামলার তদন্ত শুরু হওয়ায় মানুষ আশায় আছে, হয়তো এবার সত্যটা সামনে আসবে।
মন্তব্য করুন