

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৪৪ বন্দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে নারী ও শিশুসহ অনেককে টেকনাফের বাহারছড়ার পিনিস ভাঙ্গা পাহাড়ি এলাকায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে কোস্টগার্ড সদস্যরা পাহাড়ের চূড়ায় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৪৪ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
যার মধ্যে রয়েছে, ১৫ পুরুষ ও নারী ২৯ জন। তারা উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।
উদ্ধারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, সুবিধাজনক কর্মসংস্থান, উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় গমনে উদ্বুদ্ধ করে টেকনাফের গহিন পাহাড়ে গোপন আস্তানায় জিম্মি করে রেখেছিল। পরবর্তীতে, পাচারকারীরা তাদের সুবিধাজনক সময়ে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উপকূল থেকে নৌকাযোগে মালয়েশিয়ায় পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল।
অভিযান চলাকালীন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের আটকের নিমিত্তে কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য করুন