

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে খুলনা খতিব ফোরাম। গাজীপুরে মসজিদের খতিবকে গুম করে হত্যাচেষ্টা এবং সারা দেশে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করে ধর্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর নগরীর শিববাড়ি মোড়ে খুলনার মুসলিম ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে খুলনা খতিব ফোরাম।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি নানা ধরনের স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইমাম ও খতিব নাজমুস সাকিব বলেন, অপরাধে জড়িত থাকার কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের অন্যায়ের কারণে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, ঠিক সেভাবে ইসকনকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা অ্যাডভোকেট আলিফকে হত্যা করেছে, সারা দেশে ব্যাপক আকারে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী নেতারা ও ইমাম-খতিবের ওপর হামলা চালিয়েছে, এমনকি গাজীপুরে গুমের ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ইমাম কামরুল হাসান বলেন, ইসকনের কাজ হলো মন্দির নির্মাণ করা, হিন্দুদের মাঝে সম্প্রতির বন্ধন বজায় রাখা। কিন্তু তারা হিন্দুত্ববাদী কার্ড খেলে পুরো দেশকে অস্থির করছে। ইসকন ধর্মীয় কার্যক্রমের আড়ালে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ভাই আইনজীবী আলিফকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ইসকন নিষিদ্ধ আছে। তাহলে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে বাধা কোথায়? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসকন শুধু মুসলিম না তারা হিন্দুদেরও শত্রু, তারা মানবতার শত্রু। আমরা অবিলম্বে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা চাই।
বক্তারা আরও বলেন, দেশে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ইস্কন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বিক্ষোভকারীরা একযোগে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, অবিলম্বে ইসকনের কার্যক্রম তদন্ত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে কোনো সহিংসতা বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান তারা।
মন্তব্য করুন