বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সরব কণ্ঠ ও ফ্যাশন দুনিয়ার পরিচিত মুখ মডেল ও অভিনেত্রী স্যান র্যাচেল আত্মহত্যা করেছেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ঘুমের ওষুধ খেয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন এই তরুণী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ জুলাই পুদুচেরির নিজ বাড়িতে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন র্যাচেল। দ্রুত তাকে ভর্তি করা হয় ইন্দিরা গান্ধী সরকারি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে স্থানান্তর করা হয় জওহরলাল ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে। সেখানেই ১২ জুলাই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, র্যাচেল অত্যধিক ঋণের বোঝায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হওয়ার পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে লিখেছেন, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তবুও সম্প্রতি বিয়ে হওয়ায়, বৈবাহিক জীবনে কোনো অশান্তি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। আজ ১৪ জুলাই তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
স্যান র্যাচেল ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত মডেল। তার আসল নাম ছিল শঙ্কর প্রিয়া। ২০১৯ সালে তিনি ‘ডার্ক কুইন তামিলনাড়ু’ খেতাব অর্জন করেন। ২০২১ সালে জেতেন ‘মিস পুদুচেরি’ খেতাব। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি- লন্ডন, জার্মানি ও ফ্রান্সে বিভিন্ন মডেলিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
তিনি কেবল ফ্যাশন জগতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং নারী সুরক্ষা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সরব কণ্ঠ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
এই অকাল প্রয়াণে মডেলিং ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন