

পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর ইউরোপের বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার স্টেফানি পাইপারের (৩১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অস্ট্রিয়ার এই নারীকে হত্যার পর মরদেহ স্যুটকেসে ভরে স্লোভেনিয়ার ঘন জঙ্গলে পুঁতে রাখেন তার সাবেক প্রেমিক। গত সপ্তাহে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভয়ংকর এই হত্যাকাণ্ডে অস্ট্রিয়া–স্লোভেনিয়া জুড়ে তীব্র ছড়িয়ে পড়েছে।
স্টাইরিয়ান স্টেট পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নভেম্বর একটি পার্টি থেকে ফেরার পর নিখোঁজ হন পাইপার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেকআপ, ফ্যাশন ও গান–বিষয়ক কনটেন্টের জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।
গণমাধ্যম বলছে, পার্টি শেষে এক বন্ধুকে বার্তা পাঠিয়ে বাড়ি ফেরার কথা জানান পাইপার। তবে অল্প সময় পর আরেকটি বার্তায় তিনি জানান— তার মনে হচ্ছে সিঁড়িঘরে কেউ লুকিয়ে আছে। এরপরই তার সন্ধান মিলছিল না।
প্রতিবেশীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেদিন রাতে তার বাসা থেকে ঝগড়ার শব্দ শোনা যায়। এ সময় পাইপারের সাবেক প্রেমিককে তারা ওই ভবনের ভেতরে দেখেছেন বলে দাবি করেন। পরিবার ও সহকর্মীরা যোগাযোগ না পেয়ে পরদিনই তাকে নিখোঁজ বলে রিপোর্ট করেন।
পরে, ২৪ নভেম্বর স্লোভেনিয়ায় অস্ট্রিয়া সীমান্তের কাছে একটি ক্যাসিনোর পার্কিং লটে আগুনে পুড়তে থাকা লাল রঙের একটি গাড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। গাড়িটির মালিক ছিলেন পাইপারের সাবেক প্রেমিক পিটার এম। আগুনের কাছাকাছিই তাকে সন্দেহজনক আচরণের জন্য আটক করা হয়।
অস্ট্রিয়া পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করে এবং স্লোভেনিয়া তাকে হস্তান্তর করে। তদন্তকারীরা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তিনি প্রমাণ নষ্ট করতে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন।
কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর পিটার এম. তার সাবেক প্রেমিকাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, পার্টির পর তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার পর তিনি পাইপারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ স্যুটকেসে ভরে গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে স্লোভেনিয়ার মাজস্পার্ক এলাকার জঙ্গলে পুঁতে রাখেন।
২৮ নভেম্বর পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে স্যুটকেস উদ্ধার করে। তাতেই মিলেছে পাইপারের মরদেহ।
স্টাইরিয়ান স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তের ভাই ও সৎ বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ঘটনাটি গোপন রাখতে বা প্রমাণ নষ্ট করতে সহায়তা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন