

বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) শীর্ষ ১০ ব্যান্ডের মৌলিক গান নিয়ে ‘ব্যান্ড উৎসব-২০২৫’ আয়োজন করা হয়েছে। তারুণ্যের বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখে বিটিভি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কিংবদন্তি গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ব্যান্ড সংগীতের বরেণ্য সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবুর রসায়ন আয়োজনকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। এতে শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড দল সোলস, ফিডব্যাক, দলছুটসহ দশটি ব্যান্ডকে যুক্ত করা হয়েছে।
গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থণা এবং শারমিন নিগারের শিল্প নির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। ব্যান্ড উৎসব-২০২৫ দুই পর্বে পাঁচটি করে গান উপভোগ করতে পারবেন বিটিভির দর্শক-শ্রোতারা। প্রথম পর্ব প্রচারিত হবে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় এদিন নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ, শিরোনামহীনের পারফর্ম দেখানো হবে।
দ্বিতীয় পর্ব বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা এবং সোলস পারফর্ম করবে। সোলসের ভোকালিস্ট পার্থ বড়ুয়া বলেন, সত্যি বলতে যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে জঙ্গী ভাইয়ের লেখা (শহীদ মাহমুদ) আর ফোয়াদ নাসের বাবু সুরে গাইতে হবে তখন আর না করার সাহস দেখাতে পারিনি।
কারণ সোলসকে আজকের একটা জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। আমরা বিশ্বাস করি বিটিভি তরুণ দর্শক-শ্রোতাদের উপযোগী আরও এমন আয়োজন করবে।
এ ব্যাপারে গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য দশটি ব্যান্ড দশটি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে-দশটি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার।
বিটিভির জিএম নুরুল আজমের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এতগুলো গান দ্রুততম সময়ের মধ্যে লেখা সম্ভব ছিল না। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছেন তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি।
পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবু ভাইকেও ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করার জন্য। এ অধ্যায়টি খুবই পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি। এমন নান্দনিক কাজে বিটিভি আরো এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।
অপরদিকে সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, এটা স্বীকার করতে হবে যে বিটিভি বা এর বাইরে এতগুলো মৌলিক সুর এক সঙ্গে এত কম সময়ে এর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে তা কেবল শ্রোতারাই বলতে পারবেন। পুরো আয়োজনটির জন্য বিটিভির কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে জিএম নুরুল আজমের কথা না বললেই নয়, আমরা তার কাছে বিশেষভাবে ঋণী।
বিটিভির জেনারেল ম্যানেজার নুরুল আজম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশনকে একঘেয়ে জায়গা থেকে বের করে সকল দর্শকের আস্থার জায়গায় আনতে বৈচিত্র্য দরকার ছিল। বিশেষ করে তারুণ্যের জায়গাটায়। তারই অংশ হিসেবে ব্যান্ড সংগীতের উদ্যোগ নেওয়া।
সচিব এবং ডিজি স্যারের সময়োপযোগী ভাবনায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে পেরে ভালো লাগছে। বিশেষ করে অংশীজন সকল ব্যান্ড দলকে ধন্যবাদ যে তারা কম সময়ে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানটি দুই পর্বে প্রচার হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।
মন্তব্য করুন