

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো দেশ। প্রিয় নেত্রীর বিদায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত জনপ্রিয় গায়ক মনির খান। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় এই শিল্পীকে।
‘দেশের মাটিতেই শেষ নিঃশ্বাস চেয়েছিলেন’ শোক প্রকাশ করতে গিয়ে কান্নারুদ্ধ কণ্ঠে মনির খান বলেন, “এমন এক নেত্রীকে আমরা হারিয়েছি, যার মৃত্যুতে আজ সারা বাংলাদেশের মানুষ কাঁদছে। তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকসহ সব সংকটে নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “শেষবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, তার মৃত্যু যেন দেশের মাটিতেই হয়, জানাজা ও দাফন যেন এই মাটিতেই সম্পন্ন হয়। তিনি কখনো দেশের বাইরে যেতে চাননি, সব সময় দেশের মাটি ও মানুষের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছেন।”
‘কখনো বৈষম্য করেননি’ মনির খান আরও বলেন, “ভিন্ন মত বা ভিন্ন ধর্মের মানুষ— কারও ক্ষেত্রেই তিনি কখনো বৈষম্য করেননি। তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের কথাই ভেবেছেন এবং নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছেন। কতবার অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন, তবুও দেশ ছাড়েননি।”
নেত্রীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন, “আজ আমার মতো সারা দেশের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে আছে। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। তার পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে শোক সহ্য করার শক্তি দান করুন।”
মৃত্যু ও দাফন দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে ৮০ বছর বয়সে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া।
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম খালেদা জিয়াকে তার স্বামী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন