

কনকনে ঠান্ডায় গরম কফি বা উষ্ণ চায়ের সাথে আমরা নিজেদের গায়ে গরম পোশাক জড়িয়ে নিই, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখা অনেক বেশি জরুরি। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতের সময় খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনা মাত্রেই শরীর বাইরের ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পায়। বাড়তি কোনো সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ ছাড়াই রান্নাঘরের সাধারণ তিনটি খাবার আপনাকে দিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী উষ্ণতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
শীতের এই কনকনে সময়গুলোতে নিজের শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে গরম রাখা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু খাবার আছে, যা শুধু তাপ দেয় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। চলুন জেনে নিই শীতকালীন তিনটি সেরা সুপারফুড, যা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
১. আদা
আদাকে বলা হয় প্রাকৃতিক ‘থার্মোজেনিক’ খাবার। এর মধ্যে থাকা ‘জিনজারোল’ উপাদান শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়।
কীভাবে খাবেন : শীতের সকালে আদা চা বা গরম জলে আদা ফুটিয়ে পান করলে শুধু শরীর গরমই থাকে না, বরং সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার ঝুঁকিও কমে। এটি হজম ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
২. গুড়
চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হলো গুড়। গুড়ে প্রচুর আয়রন এবং ক্যালোরি থাকে, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এটি রক্তনালীকে প্রসারিত করে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন: দুপুর বা রাতের খাবারের পর ছোট এক টুকরো গুড় খেলে তা শরীর গরম রাখার পাশাপাশি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফুসফুসকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
৩. তিল
শীতকালীন ডায়েটে তিল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিলে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এটি শরীরে তাপ উৎপন্ন করার ক্ষমতা রাখে এবং হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, যা শীতে অনেকের ক্ষেত্রে বেড়ে যায়।
কীভাবে খাবেন: তিলের নাড়ু বা তিল দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খেতে পারেন। এছাড়া সকালে খালি পেটে অল্প তিল চিবিয়ে খেলেও সারাদিন শরীরের উষ্ণতা বজায় থাকে।
কেন এই তিনটি খাবারই সেরা?
নিরাপদ : পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
সাশ্রয়ী : সহজেই আমাদের হাতের কাছে পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ : অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা শীতকালীন ফ্লু থেকে সুরক্ষা দেয়।
বাড়তি সতর্কতা
অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়। তাই নিয়মিত খেলেও পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষ করে যারা রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তারা গুড় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন