সপ্তাহের শুরুতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নগরীসহ সারাদেশে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ। দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে অগ্রায়নের শীত। রেকর্ড হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে কোথাও কোথাও সূর্যের আলোর দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। দিনভর কুয়াশা থাকছে। বিকেল গড়লেই হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত বাড়তে থাকে। এ নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়তে পারে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নওগাঁর বদলগাছীতে। একদিন আগে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নগর জীবনেও শীতের প্রভাব পড়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালসহ সন্ধ্যার পরও অনুভূত হচ্ছে শীত। গায়ে জড়াতে হচ্ছে শীতের কাপড়। রাতে প্রয়োজন হচ্ছে লেপ-কাঁথার।
ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে আজ হয়েছে ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গল ও বুধবার রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ডিসেম্বর মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা কমে শীত আরও বাড়তে পারে। কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় আপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন