কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৬ পিএম
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশে ছয়জন অন্তঃসত্ত্বার একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দেশে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ফলে সন্তান সম্ভাবা মা ও অনাগত শিশু উভয়েই ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিতে আসা শতকরা ৩৫ ভাগ অন্তঃসত্ত্বা মহিলার রক্তের গ্লুকোজ অস্বাভাবিক পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে প্রতি ছয়জন মায়ের মাঝে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সন্তান জন্মের ৬ সপ্তাহ পর শতকরা ৫০ ভাগ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়ের রক্তের গ্লুকোজ স্বাভাবিক হয়নি।

আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অব হাইপারগ্লাইসেমিয়া ইন প্রেগনেন্সি শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন মিলনায়তনে মা ও প্রসূতি বিভাগ, ফিটোমেটাল মেডিসিন বিভাগ ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বলা হয়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এর কুফল থেকে মা ও সন্তানকে মুক্ত রাখা যায়। এজন্য গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীকে একজন ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হয় এবং প্রয়োজনে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হয়। পরবর্তী জীবনে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকায় মাকে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো সারা জীবন ধরে রাখতে হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গর্ভাবস্থায় কোনো মায়ের ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তার দ্রুত চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এ ডায়াবেটিস অনাগত নবজাতকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই বিশ্ববিদ্যালয় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে একটি গবেষণা চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাসনাত, কো-চেয়ারম্যান মা ও প্রসূতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরিন, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সোহেল মাহমুদ আরাফাত প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফাঁদ পেতে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা

শিক্ষকদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ এ্যানির

শুঁটকি উপকারী না ক্ষতিকর? কী বলছেন পুষ্টিবিদ

ভারত / প্লেনের ভেতর যাত্রীর পাওয়ার ব্যাংকে হঠাৎ আগুন

বাংলাদেশের পর এবার স্কোয়াডে পরিবর্তন আনল ওয়েস্ট ইন্ডিজও

জুলাই আন্দোলনে শহীদরাও মুক্তিযোদ্ধা : রিজভী

অল্প বয়সেই চুল পড়ে যাচ্ছে? উপকার মিলতে পারে ৫ ফলে

এক্সিকিউটিভ পদে এসকেএফ ফার্মায় চাকরির সুযোগ

নতুন যে সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

১০

ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে ট্রান্সকম গ্রুপে চাকরির সুযোগ

১১

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মহাসমাবেশ

১২

কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে

১৩

সাকিবের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানালেন সাব্বির

১৪

লাজ ফার্মায় চাকরির সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

১৫

যে কারণে খুন হলেন জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

১৬

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় আঁখি

১৭

জবি ছাত্রদল নেতা খুন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনের শোক ঘোষণা

১৮

‘পাপের কি কোনো হিসেব থাকে দারোগা’

১৯

দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা

২০
X