আমরা অনেক সময় শরীর আর মনের সমস্যাকে আলাদা করে দেখি। কিন্তু বাস্তবে, এই দুটো একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে। যেমন, ডায়াবেটিস থাকলে অনেক সময় মানুষ মানসিক অবসাদে ভোগেন। আবার কেউ যদি দীর্ঘ সময় মানসিক অবসাদে থাকেন, তার ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
তবে ভালো খবর হলো—এই দুই সমস্যার সম্পর্ক যেহেতু জড়িত, তাই একটার চিকিৎসা করলে অন্যটার উপকারও হতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে মন ও শরীর একে অপরকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন : রাতে খাবার বন্ধ করলে ওজন কমে কি
আরও পড়ুন : সকালে খালি পেটে যে ৭ কাজ শরীরের ক্ষতি করে
কীভাবে ডায়াবেটিস ও মানসিক অবসাদ একে অপরকে প্রভাবিত করে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ শরীরের পাশাপাশি মানসিক চাপও বাড়ায়। রোগ সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা, রোজকার নিয়ম মানা, ওষুধ খাওয়া—এসবই মানসিকভাবে ক্লান্ত করে দেয়। অনেকেই এতে অবসাদে ভোগেন।
ডায়াবেটিস হলে খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তন অনেকের কাছে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়, যার ফলে মানসিক চাপ বাড়ে।
মনের চাপ বা অবসাদ শরীরের হরমোনে প্রভাব ফেলে—যেমন কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোন। এসব হরমোন বেড়ে গেলে রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক অবসাদে থাকা অনেকেই অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান বা অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে শরীরচর্চাও বন্ধ করে দেন। এসব অভ্যাস ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন : দাড়ি থাকা পুরুষদের প্রেমে কেন পড়ে নারীরা?
আরও পড়ুন : সকালের তাড়াহুড়োয় খেতে পারেন যে ৭ স্বাস্থ্যকর খাবার
যেহেতু ডায়াবেটিস ও মানসিক অবসাদ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই শুধু শরীর নয়, মনকেও সময় দেওয়া খুব জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম, প্রয়োজন হলে কাউন্সেলিং—সব মিলিয়ে জীবনকে একটু সহজ ও নিয়ন্ত্রিত করে তোলাই এই দুই রোগ মোকাবিলার মূল চাবিকাঠি।
সূত্র : American Diabetes Association: Diabetes and Mental Health
মন্তব্য করুন